আজকাল ডেস্ক।।পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ থানায় দিনরাত অপেক্ষা করেও আইনি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি থানায় অবস্থান নিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম জোসনা বেগম (২২)। তিনি ঢাকার মেঘনা এলাকার আবদুর রহিম বাদশার মেয়ে। জোসনা জানান, চার বছর আগে বাউফল উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের সিদ্দিক মাতব্বরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সিদ্দিক ওই সময় ঢাকায় গাড়ি চালাতেন। একপর্যায়ে তাদের পরিচয় থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে হয়। এখন তাদের এক কন্যা সন্তানও আছে। তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তার অভিযোগ, বিয়ের পর জোসনা জানতে পারেন তার স্বামীর আরেক স্ত্রী আছে। গত ৭-৮ দিন আগে তার স্বামী সিদ্দিক মাতব্বর তাকে রেখে বাড়ি চলে যান। পরে স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। এরপর নিরুপায় হয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে শুক্রবার সকালে স্বামীর গ্রামের বাড়ি যান। সেখানে যাওয়া মাত্রই তাকে দেখে স্বামী ও তার সতিন (প্রথম স্ত্রী) ও ভাসুর মোসলেম মাতব্বর রেগে যায়। একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করে। পরে স্থানীয় মমিন উদ্দিন নামের এক চৌকিদার তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত শনিবার দুপুরে নির্যাতিত জোসনা স্বামী সিদ্দিক মাতব্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বাউফল থানায় যান। কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি ওই দিন রাতে থানার বারান্দায় শিশু সন্তান নিয়ে রাত কাটান। জোসনা আক্ষেপ করে বলেন, ‘থানার এক স্যার (তদন্ত ওসি আল মামুন) রাতে তার ও তার শিশু সন্তানের খাবারের ব্যবস্থা করেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি থানায় অবস্থান নিলেও ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তাকে কোনো আইনি সহায়তা প্রদান করেননি।’ বরং ওসি তাকে থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগেও জোসনা বেগম বিষয়টি নিয়ে থানায় কয়েকবার আসছিলেন। আবার স্বেচ্ছায় স্বামীর কাছে চলে গেছেন। তিনি কখনই লিখিত অভিযোগ দেননি। আমি যতদূর জানি তিনি আবারও স্বামীর কাছে চলে গেছেন।’ তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) জোসনা তার স্বামীর বাড়ি যায়নি বলে জানা গেছে।
Leave a Reply