আজকাল ডেস্ক।। কলাপাড়াউপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন টি বিধ্বস্ত ভবন বি-নির্মানে নেই কোন উদ্যোগ। অন্যের বাড়িতে বসে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, অর্থআদায় সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ। কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক টি প্রায় ছয় হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরকার ১৯৯৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে এটিও দুমড়ে মুছরে পরে যায়। ২০০৮ এর পরে আবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠণ করলে প্রাণ ফিরে পায় তৃর্ণমূলের ক্লিনিক গুল। তবে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম এই কমিউনিটি ক্লিনিকটিতে কম বেশি দেখাগেলেও ভবন বি-নির্মানে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সাফাখালী বাজার সংলগ্ন আঃ মন্নান মাতুব্বরের বাড়িতে বসে এই ক্লিনিকটির প্রাথমিক কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সাফাখালী বাজারে স্থাপিত ক্লিনিকটি বসবাসের অনুপযোগী প্রায় দুই বছর আগেই বিধ্বস্ত ভবনটি দাড়িয়ে আছে অতিসয় জীর্ণ অবস্থায়। ভেড়িবাধের বাহিরে ভবনটির অবস্থান থাকায় কয়েক দফা জোয়ার ভাটার লবন পানিতে ডুবে যাওয়ায় ভবনটিকে আরও দূর্বল করে ফেলে। এই ক্লিনিক টিতে একজন এমবিবিএস মানের ডাক্তার কমপক্ষে মাসে দুই একবার উপস্থিত থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের কথা রয়েছে। অথচ স্থানীয়দের অভিযোগ এ রকম কোন ডাক্তার এখানে কখনও দেখেনি। এই ক্লিনিকটিতে দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মরত রয়েছেন মোসা: শারমিন আক্তার তার বিরুদ্ধে নিয়মিত ক্লিনিকে না আসাও সরকারি ঔষধ প্রদানের বিপরিতে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, ক্লিনিকটির ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে যানানো হয়েছে। আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ রয়েছে তা সঠিক নয়। এই ক্লিনিকটির দায়ীত্বে থাকা চিকিৎসক ইকবাল হোসেনের কাছে যানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঐ ক্লিনিকটির দায়ীত্বে আছি নিয়মিত ওখানে যাই আমার না যাওয়ার বিষটি ঠিক নয় বলে তরিঘরি করে ফোনটি কেটে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার জানান, ভবনটি বি-নির্মানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে যানানো হয়েছে। ভবনটির প্রাথমিক কাজ প্রক্রিয়া ধীন রয়েছে। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন জানান,করোনার জন্য কাজ থেমে রয়েছে। সরেজমিনে দেখার জন্য আজই লোক পাঠাচ্ছি।
Leave a Reply