বৃহস্পতিবার (৯ জুন ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নচনমহল বাজার সংলগ্ন খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফারজানা আক্তার উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের উত্তর রানাপাশা গ্রামের মো. ফারুক মুন্সির মেয়ে এবং রানাপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসীরা জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ফারজানার কোন খোঁজ পায়নি স্বজনরা। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফারজানা আক্তারের বইয়ের ব্যাগটি বইসহ অক্ষত অবস্থায় খালপাড়ে একটি গাছের গোড়ায় পেয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ধারণা করে, ফারজানা আক্তার খালে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। ফারজানাকে খুঁজে না পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীরা খালে নেমে খোঁজ করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। খালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুইদিন তল্লাশি চালিয়েও ফারজানার কোন সন্ধান পায়নি।

এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফারজানার মরদেহ এলাকার দুই যুবক নাচনমহল বাজার সংলগ্ন খালে ভাসতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। খবর পেয়ে তারা নিহতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার ও নাচনমহল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম সেলিম নিশ্চিত করেছেন।