মোঃ শহিদুল ইসলাম ॥ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে বরিশালের সংবাদপত্র হকাররা চরম অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন। এ অবস্থায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন হকার নেতৃবৃন্দ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশালের সকল পত্রিকা বিক্রেতাই করোনা কালে ভয়াবহ কস্টে দিন কাটাচ্ছে। করোনাভাইরাসে পত্রিকা বেচাবিক্রি না থাকায় বকেয়া পড়ে গেছে কয়েক মাসের বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল এবং মুদি দোকানের পাওনা। এই টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। পত্রিকা বিক্রেতারা জানান, বরিশালে দেড় শতাধিক পত্রিকা বিক্রেতা রয়েছে। যাদের পরিবার চলে পত্রিকা বিক্রির আয়ের ওপর। অভাব অনটন থাকলেও মোটামুটি চলে যাচ্ছিল তাদের। কিন্তু মহামারি করোনার ভয়াল থাবায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। করোনার ভাইরাসের কারনে গত দুই তিন মাস নিয়মিত পত্রিকা বিক্রি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়তে হয় পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের। পুরো লকডাউনে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকে জাতীয়সহ বরিশালের অধিকাংশ লোকাল পত্রিকা। এ সময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বিসিসি মেয়রের পক্ষ থেকে বরিশাল নগরীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও অধিকাংশ হকারের বাসায় তা পৌছায়নি বলে তারা জানান। তারা আরও জানান, বরিশাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমবার ১৬২ জন এবং দ্বিতীয় বার ৭০ জনকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বরিশালের রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে কোন বিত্তশালীও এখন পর্যন্ত সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়াননি। অন্যদিকে বরিশালের পত্রিকা পাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাকালে নানা সংকটের কারনে অধিকাংশ পত্রিকা ছাপা বন্ধ রয়েছে। বরিশাল সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কালু জানান, প্রনোদনার ২৫০০ টাকা আমাদের দিবে বলে আস্বাস দিলেও তা এখনও পাইনি।এমন পরিস্থিতিতে প্রথম সারির জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকাগুলোকে আমাদের দুরর্বি অবস্থার কথা লিখিত ভাবে জানালেও তারা এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়ায়নি। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কস্টে আছি তাই আবারও আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই সাহায্য সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।বরিশাল সদর হর্কাস ইউনিয়নের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বাদল কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন।ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে চরম হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে এই পেশা ছেড়ে রাস্তা নামতে হবে।তিনি আরও বলেন বরিশালের লোকাল পেপার অর্ধেক বন্ধ।এছাড়া অনেক গ্রাহক মাসিক পেপার রাখা বন্ধ করে দিয়েছে।এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে আমরা চলছি।শুধু আমি নয় এই পেশায় দের শতাধিক হর্কার রয়েছে সবারই একই অবস্থা বিরাজ করছে।রির্পোটারকে তিনি আরও বলেন,এই শিল্প বাচাতে হলে আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমরা যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা ডালভাত ক্ষেতে পারি এইটুকু আমাদের দাবি।
Leave a Reply