পদ্মা-যমুনার পানি কমতে থাকলেও বাড়ছে ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পানি। এতে রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। এদিকে, উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে, পানি আবারো বাড়তে থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে ধরলা ও তিস্তা পাড়ের নতুন নতুন এলাকা। ব্রহ্মপুত্রে কমলেও কুড়িগ্রামে আবারো বেড়েছে ধরলার পানি। এতে জেলায় তৃতীয় দফা বন্যার শঙ্কা। এদিকে, করোনা আর বন্যায় জর্জরিত এসব এলাকায় চলছে খাদ্য সংকট। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগব্যাধি। ত্রাণ তৎপরতাও অপ্রতুল। গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি কমলেও নতুন করে তলিয়ে গেছে কয়েকটি এলাকা। ভেঙ্গে পড়েছে রাস্তা-ঘাট।
ভেসে গেছে মাছের খামার। মুরগির খামারিরাও বিপাকে। যমুনার পানি কমলেও ভাঙনে নাস্তানাবুদ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। আহাজারি চলছে সদরের পাঁচঠাকুরী গ্রামের নদী ভাঙনের শিকার পাঁচ শতাধিক পরিবারে। যমুনার পানি কমতে থাকায় কিছুটা উন্নতির দিকে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি। তবে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল থেকে এখনও পানি সরেনি। খাবারসহ নানা দুর্ভোগে বানভাসীরা। তীব্র হচ্ছে পশু খাদ্যের সংকট ।
ঢাকার পাশে গাজীপুরে তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালীতে পানি বাড়ছে। পাতিতে ভাসছে কালিয়াকৈর উপজেলার ১১২টি গ্রাম। পানিবন্দি মানুষ ভুগছে বিশুদ্ধ পানির অভাবে। পয়:ব্যবস্থাও নাজুক। ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ১২৪টি বন্যার্ত পরিবার। প্রশাসন থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে। পানি বেড়েছে মধুমতি নদী ও কুমার নদে। তলিয়ে গেছে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়াসহ, পাঁচ উপজেলার নিচু অঞ্চল। পানিবন্দী এক হাজার পরিবার। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, দেশের ১৭টি জেলা এখন বন্যা কবলিত। আর বিপদসীমার ওপরে বইছে ১৯টি নদ-নদী।
Leave a Reply