আজকাল ডেস্ক।। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পার্শ্ববর্তী সেবা জেনারেল হসপিটালে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স। নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে এ দুটি হাসপাতালে সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাড়ে সাত লাখ টাকা এবং সেবা জেনারেল হসপিটালকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) উম্মে সালমা তানজিয়া ও গাজীপুর র্যাব-১ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চলাকালে বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হাসপাতাল) উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, আমাদের যে সব প্রতিষ্ঠান চলছে সে সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে কি-না এবং ঠিক মতো সেবা প্রদান করছে কি-না সেটা দেখার উদ্দেশ্যেই আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক, নিয়মের মধ্যে থাকুক, সেবা প্রার্থীদের সেবা নিশ্চিত করুক। কোনো অভিযান বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল বিভিন্ন মিডিয়ায় তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটা মিডিয়া বলেছে যে অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে নাকি। অভিযান বন্ধ হয়নি। আজকের অভিযানই তার প্রমাণ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঠিক রেখে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জনগণ যাতে সেবা পায় সেটা ঠিক রাখার একটি সমন্বিত ব্যবস্থার জন্য সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির লাইসেন্স নেই। তাদের অপারেশন থিয়েটারে যেসব সার্জিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছে সেগুলো ৫-৬ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী ব্যবহার করলে রোগীদের ক্ষতি হতে পারে। এখানে এ প্রতিষ্ঠানের যে চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন তারাও বলেছেন এটা কাঙিক্ষত নয়। তিনি বলেন, হাসপাতালটির ল্যাবে অনুমতি ছাড়া ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হচ্ছে। রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হলে আইন অনুযায়ী লাইসেন্স করতে হবে। সেই লাইসেন্সটি তারা না নিয়েই রক্ত পরিসঞ্চালন করে আসছিলেন। রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হলে অবশ্যই রক্তের পাঁচটি টেস্ট করতে হবে। যেসব হাসপাতালের লাইসেন্স নেই সেই সব হাসপাতালকে লাইসেন্স করার জন্য আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মন্ত্রণালয় সময় বেঁধে দিয়েছে। সে কারণে আমরা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করিনি। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স নিতে ব্যর্থ হলে আমরা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেব।
Leave a Reply