কারাগারে কাঁদছেন মিন্নি, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে কারাগারে কাঁদছেন মিন্নি, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

কারাগারে কাঁদছেন মিন্নি, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৪১ সময় দর্শন

কারাগারে কাঁদছেন মিন্নি, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে

আজকাল ডেস্ক :: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা বৃহস্পতিবার সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করেছেন। আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বুধবার মিন্নিসহ ৬জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তাদের বরগুনা কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে মিন্নি (আয়শা সিদ্দিকা) আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে, কারাগারে সে ভালো নেই। তাকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে।’ মেয়ে নির্দোষ দাবি করে মোজাম্মেল হোসেন বলেন- একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়া আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে দ্রুত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। মোজাম্মেল আশাবাদী তার মেয়ে উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।’

মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ ভিডিওতে দেখেছে আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর স্বামী রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আহত রিফাতকে একাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। অথচ এই মামলায় আমার মেয়েকে ফাঁসানো হলো।’

কারাগার সূত্র জানায়, বুধবার রায় ঘোষণার পর ৬ আসামিকে বিকেল তিনটার দিকে কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেলে রাখা হয়। রায় শোনার পর থেকে আয়শা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কারাগারে নেওয়ার পর আয়শা চুপচাপ ছিলেন। কারাগারের নেওয়ার পর স্বজনদের দেখা পাননি। কারও সঙ্গে তেমন কথাও বলেননি। রাতে খাবার-দাবার দেওয়া হলে সামান্য খেয়েছেন। বাকি পাঁচ আসামি স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য কোনো নারী আসামি নেই। ফলে আয়শা একাই কনডেম সেলে আছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। রিফাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি ছাড়া কনডেম সেলে আপাতত অন্য কোনো বন্দী নেই। কারাবিধি অনুযায়ী ৬ বন্দীকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে। এখানে তারা কারা বিধি অনুযায়ী এই পোশাক পরবেন।

এর আগে বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই মামলার রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন। বাকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির বিচার কার্যক্রম চলছে শিশু আদালতে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে জখম করেন সন্ত্রাসীরা। পরে ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাকে কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে এটি আলোচিত হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) এবং রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নি (১৯)।

খালাস পাওয়া চার আসামি হলেন মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। মুসা এখনো পলাতক। রায়ে খালাস পাওয়া বাকি তিনজনকে বুধবার রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন- আয়শা তার স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন, প্রসিকিউশন তা প্রমাণ করতে পেরেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণ আদালত বলেছেন, ‘রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের নির্মমতা, বর্বরতা মধ্যযুগীয় কায়দাকেও হার মানিয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে তাদের অনুসরণ করে অন্য যুবকেরাও ধ্বংসের পথে যাবে। এ জন্য এসব আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর