মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী আলোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কোনো ভালো কাজের জন্য নয়, বরং ভাইরাসটি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এবং এটিকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই বার বার আলোচনার বিষয় হয়েছেন তিনি। এবার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর সব বিতর্ক যেন ছাপিয়ে গেলেন!
গত ২ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শরীরে মরণব্যাধী এই ভাইরাসটি ধরা পড়ে। অবস্থা এমন ছিল যে, তাকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। তবে রোববার থেকেই তিনি সুস্থ বোধ করছেন বলে জানান। যদিও তার চিকিৎসকরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের শরীরে এখনো কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ আছে। এর মধ্যেই আজ সোমবার হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে হোয়াইট হাউসে চলে এসেছেন। এমনকি মাস্কও খুলে ফেলেছেন।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সুস্থ নন বলে জানালেও হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে সোমবারই তিনি পৌঁছে গেছেন হোয়াইট হাউসে। নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ দাবি করে খুলে ফেলেছেন মাস্কও। এর আগে রোববারই সমর্থকদের হাত নাড়ার জন্য করোনা নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
যে গাড়িতে উঠে তিনি হাত নেড়েছিলেন সেখানে প্রেসিডেন্ট একা ছিলেন না। সঙ্গে দেহরক্ষী, নিরাপত্তা পরিষদ সকলেই ছিলেন। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও সুস্থ মানুষদের এভাবে সঙ্গে নিয়ে বের হওয়া ভালো চোখে দেখছেন না সচেতন জনগণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া ট্রাম্পের শরীরে করোনা ধরা পড়ার পর হোয়াইট হাউসের একাধিক অফিসার, কর্মীর শরীরেও এটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও।
এক ভিডিও বার্তায় দেশের মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, করোনা আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হবে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর এটাই নাকি তার উপলব্ধি। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।
এক টুইট বার্তায় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দুই লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্টের উচিত ছিল, মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে বোঝানো। কিন্তু তিনি এটা না করে ঠিক উল্টো কাজ করলেন।
Leave a Reply