রেলে চলাচলের সময় পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের খেতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ব্র্যান্ড রেল পানি। কিন্তু এ পানির মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বুয়েটের ল্যাব পরীক্ষাও বলছে, এ পানি খাওয়ার অনুপযোগী। পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। দেশের সব রেলস্টেশনের দোকানগুলো ও ট্রেনের ভিতরে অন্য সব কোম্পানির পানি বিক্রি বন্ধ। পানি খেতে চাইলে যাত্রীদের একটি কোম্পানীর পানিই খেতে হবে। নাম -রেলপানি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পানি সরবরাহের জন্য শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এর সাথে পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুরুর দিন থেকেই মানহীনতার অভিযোগ যাত্রীদের। একজন বলেন, ‘অন্যান্য পানির তুলনায় রেলপানিটা বেশ কড়া।’ আরেকজন বলেন, ‘পানিটা খেতে গেলে একটু একটু গন্ধ আসে।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘এক্কেবারে বাজে পানি। তিতা তিতা ভাব।’ রেলওয়ের এক কর্মচারী বলেন, ‘যে পানি দিয়েছে, সেটা তো ভালো না, অনেক যাত্রীই অভিযোগ করেন।’ রেলপানির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের ল্যাবে যায় সময় সংবাদ। পুরাকৌশল বিভাগের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যবরেটরিতে পাঠানো হয় নমুনা। ল্যাবে ১৯৯৭ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া বিশুদ্ধ পানির মানদণ্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করে এ পানি খাওয়ার অনুপযোগী বলে জানান বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন অধ্যাপক ড. এম এ জলিল। বুয়েটের ফলাফল আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বলেন, শুধু পানি কেন, যেকোনো জিনিসই যদি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, সেটা আমরা কেন রেলে বিক্রি করতে দেব? অবশ্যই দেব না। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার পানির জন্য রেলওয়েকে ১ টাকা ৫০ পয়সা রাজস্ব প্রদান করবে শ্যামলী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি:। আর সারা দেশের রেল আঙ্গিনায় পানি পৌঁছে দিতে বিনা ভাড়ায় ট্রেন ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।
Leave a Reply