বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে!
মোঃ শহিদুল ইসলাম::বরিশাল নগরীর সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পণ্য সাজিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। আবার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন হোটেলের রান্নার চুলাও ফুটপাতের ওপর রেখে রান্না করা হচ্ছে। খোলা এসব রান্নার চুলার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে পথচারীদের। শুধু তাই নয়, স্থায়ী দোকানিরা দোকানের মালপত্র ফুটপাতে রেখে দেয়ায় পথচারী চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
হকাররা পণ্য সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখায় ভিড়ের কারণে পথচারীদের হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই বেশির ভাগ পথচারী হাঁটছেন সড়ক দিয়ে। এ কারণে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা। ঘর থেকে বের হলেই প্রতিদিন চোখে পড়ে- চৌমাথা এলাকায় ফুটপাত দখল করে বসেছে বিভিন্ন প্রকার সবজি, ফল,এবং লেকের পাড়ে ফাস্ট ফুটের সারি সারি দোকান।বাজার রোডের দুপাশের ফুটপাত দখল করে আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য।সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিন ও পশ্চিম পাশে বসেছে তিন চাক্কা চালিত ভ্যান এতে বিভিন্ন বয়সের পোশাকের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। পোর্ট রোড এলাকায় সরকারী ভুমি অফিসের সামনে ফুটপাতের একটা বড় অংশ দখল করে বসেছে মসলা, যৌন উত্তেজক ওষুধ,সহ বিভিন্ন উপকরন বিক্রির দোকান। সিভিল সার্জন অফিসের সামনে সড়কের ফুটপাত রয়েছে মটর সাইকেল গ্রেরেজ দোকানিদের দখলে। অনেকের স্থায়ী দোকান থাকলেও ফুটপাত দখল করে রেখেছে মটর সাইকেল দিয়ে। এছাড়া নগরীর সেবাচিমের সামনে ফুটপাত দখল করে ফলের দোকান।রুপাতলী, নাজির মহল্লা,নাজিরের পুল এলাকা,জেল খানার আশে পাশের সড়ক ও নতুন বাজারের সড়ক ও ফুটপাত দখল হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এসব এলাকায় রড-সিমেন্টের দোকান, সাইকেল-পার্টস, পানির পাম্প, পাওয়ার ট্রিলার, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ, জুতা-সেন্ডেলের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান,লেপ-তোশকের দোকান, বটতলা সড়ক দখল করে গড়ে উঠছে ম্যাজিক, আলফা,সিএনজি গাড়ির ষ্ট্যান্ড, এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন হোটেলের চুলা তৈরি, গ্যাস বিক্রি,সাইকেল মেরামতসহ বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। পথচারী কুদ্দুস মিয়া বলেন, নগরীর অধিকাংস ফুটপাত ও সড়ক দখল করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাতে যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টার মোতালেব হোসেনের কাছে সড়ক ও ফুটপাতে দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মহোদয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি, তার নির্দেশ পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply