মাশরাফী, মুশফিক, তাসকিন বা মোস্তাফিজ; টাইগারদের প্রায় প্রত্যেকেরই রয়েছে মজার নাম। তবে তাদের এই নামে ডাকেন শুধুমাত্র সতীর্থরা। এর মধ্যে রয়েছে, মুমুদুলু, মালি, ডন, স্যার বা বান্টুডাসহ নানা নাম।
‘নট আউট নোমান’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসে ড্রেসিং রুমে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কাকে কী নামে ডাকা হয় তা নিয়ে কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। রুবেল হোসেন থেকে শুরু করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সকলের চিরায়ত নামের পাশাপাশি ড্রেসিং রুমেও রয়েছে নানা বাহারি নাম।
মাহমুদ উল্লাহর ডাকনামটি জানান মাশরাফী নিজেই। তাকে ডাকা হয় ‘মুমুদুলু’ বলে। মাশরাফী এটাও জানান, তার নামের আরেকটা শব্দ তিনি বলতে পারছেন না। কারণ শব্দটি বলার মত নয়।
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের নাম জানান তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, রুবেল যখন প্রথমে শুরু করছিল তখন তাকে সবাই ‘মালি’ বলে ডাকা হত। কারণ সে মালিঙ্গার মতো অ্যাকশনে বোলিং করতো।
মুমিনুলের নামটিও জানালেন তামিমই। তিনি বলেন, মুমিনুলকে ডাকা হত ‘ডন’ নামে। হাথুরাসিংহে ডন ব্র্যাডম্যানের নামের সঙ্গে মিল রেখেই মমিনুলকে এই নামে ডাকতেন। এদিকে মমিনুলকে সবাই ‘ডন’ বলে ডাকলেও মাশরাফী ‘স্যার’ বলে ডাকেন। তিনি নিজেই একথা জানান।
মুশফিকুর রাহিমের ব্যাপারে তামিম এবং মাশরাফী দুজনই জানান, তাকে ‘বান্টুডা’ বলে ডাকা হয়।
সৌম্যকে কী নামে ডাকেন তা বলেননি মাশরাফী। এদিকে তাসকিনকে ডাকেন ‘ভাইয়্যা’ বলে। তাকে ‘হিরো’ বলেও ডাকা হয়। সবাইকে ভাইয়া বলে ডাকার কারণেই তার এই নাম হয়েছে বলে মাশরাফী জানান।
মিরাজের ডাকনাম কী এই প্রশ্নে মাশরাফী জানান, মিরাজকে অনেকে ‘পাকনা’ বলে ডাকে। তবে তা খারাপ অর্থে না। ভালো অর্থেই ‘পাকনা’ বলে ডাকা হয়।
মোস্তাফিজের ব্যাপারে মাশরাফী জানান, তাকে সবাই ‘ফিজ’ বলে ডাকে আমি তাকে ‘মুস্তা’ বলে ডাকি। আর যারা আছে পেস বোলার তাদের মধ্যে শফিউলকে ‘শ্যাফ’ বলে ডাকা হয়।
নামগুলো বেশিরভাগই রেখেছেন মাশরাফী। এই বিষয়ে তামিম বলেন, আপনি বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর কি কোন লাইসেন্স লাগে নাকি, মাশরাফী আমাদের টিমের প্রধানমন্ত্রী, উনি যা বলে ডাকেন সেটাই আমরা সকলে মেনে নেই।
Leave a Reply