এর আগে, আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে গত নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিনতকে আটক করে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে।
এ মাসেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক হবার কথা। একই ইস্যুতে গত ১৯ জানুয়ারি এই দুই দেশ এবং চীনের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। অথচ সোমবার মিয়ানমারে সেনাবাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নেয়ায় প্রশ্ন জেগেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে নতুন সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না বলেও ধারণা কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তারা বলেন, মিয়ানমারের ঘটনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়ানো। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, “সেনাবাহিনী আসায় রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বড় কোন প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “মিয়ানমারের ওপরে একটা চাপ তৈরি করাই রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান বলে মনে হয়। আর এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই চাপ সৃষ্টির জন্য নতুন একটা ফ্রন্ট তৈরি হয়েছে।”
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ টেলিফোনে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে চীন বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। চীন তাদেরকে চাপ দিয়ে আপাতত এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটা পথ বের করা যেতে পারে।”
প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা। কিন্তু মিয়ানমার এ পর্যন্ত মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই-বাছাই করেছে।
Leave a Reply