মোঃ শহিদুল ইসলাম// আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি অনেক সময় ভিডিওতে দেখতে পাই হঠাৎ করে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার দৃশ্য ।কেউ রাস্তা পারাপারের সময় ,কেই নামাজরত অবস্থা,অনেককে আবার অফিস কক্ষে এমন মৃত্যু সচারাচর দেখা যায় । ঠিক এই রকম আরো একটি ঘটনা ঘটলো ঝালকাঠিতে। আমরা কে কখন কোথায় কোন অবস্থায় মারা যাবো আমরা কেউ জানিনা, শুধুমাত্র আল্লাহপাকের কাছে দোয়া চাই মৃত্যু যেনো হয় ইমানের সহিত । জীবন ক্ষনিকের। কেউ আগে কিংবা কেউ পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিবেই।হাসপাতাল গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় হাজারো অসুস্থ মানুষ। এদের কেউ কেউ ফিরতে পারছে পরিবার পরিজনদের কাছে, আবার কেউ বা চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে।তবে ন্যাশনাল ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেডের ঝালকাঠি শাখার ম্যানেজার এ্যাডভোকেট মোঃ জালাল উদ্দিন আহমেদ (৬০) এর আকস্মিক মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। পরিবার ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে জালাল উদ্দিন আহমেদ তার কর্মস্থলে দুপুরের খাবার খেয়ে টাকা পাবে এক পাওনাদারের কাছে রওয়ানা দিয়ে ব্যাংক থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার গেলে তিনি আকস্মিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন এবং বিশ্রামের জন্য এক বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ব্যাংকের সহকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাকে বিছানায় অচেতন শুয়ে থাকতে দেখে দ্রুত ঝালকাঠি হাসাপাতালে নিলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক তাকে বরিশালে রেফার করেন।সহকর্মীরা সাথে সাথে তাকে বরিশাল শেরে -বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এমতাবস্থায় রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহমেদের মরদেহ তার ভাই এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর বাসায় রাখা হয়।এশাবাদ নগরীর বটতলা হযরত উমরশাহ জামে মসজিদ প্রঙ্গনে প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সকালে তার লাশ বরিশাল সদর উপজেলার ৯ নম্বর টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের চরকেউটিয়া গ্রামে নিয়ে যায়।যোহরবাদ চরকেউটিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ২য় জানাজা নামাজ আদায় শেষে পারিবারিক কবর স্থানে মরহুমার লাশ দাফন করা হয়।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,১ ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামিম সহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমডি এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তারা এক শোক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সেই সাথে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মধু, ৯ নম্বর টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহাউদ্দীন আহমেদ,১৮ নম্বর ওয়ার্ড কান্সিলর মীর জাহিদুল কবির জাহিদ,বরিশাল তরুন সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক বরিশাল সময় সিনিয়র রির্পোটার মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাড়াও ছিলেন আইনজীবী, পেশাজীবী, সাংবাদিক,ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ নানান শ্রেনী পেশার কয়েকশ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন।
Leave a Reply