নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঝালকাঠীর নলছিটিতে গত কিছুদিন ধরেই ক্রমাগতভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। নলছিটি উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রায় ১৫০ জনের মতো ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারন করে। চিকিৎসা কর্মীরা সেবা দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত রোগীর পাশাপাশি দেখা দেয় আইভি স্যালাইনের সংকট।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুনিবুর রহমান জুয়েল জানান সংকট নিরসনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পরামর্শে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করি। আমি স্যালাইন সংকটের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চাইলাম, তারাও নিরুপায়। পরে নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহম্মদ সিদ্দিকুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার, পৌরসভার মেয়র আবদুল ওয়াহেদ খান মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করি। গতকাল সকালেই নলছিটি পৌরসভার সন্মানিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান তার প্রতিনিধি কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম দুলাল এবং মিরাজ হাসান প্রিন্স কে পাঠান। আজ ১৮ এপ্রিল রবিবার সকালে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫০০ মিলির ৭২৮ ব্যাগ কলেরা স্যালাইন প্রদান করা হয়। এছাড়াও মেয়র মহোদয় গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার জন্য আরো ২৫হাজার টাকা প্রদানের কথা জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় স্যালাইন কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
ইউএইচএফপিও ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ সাবেক শিল্প মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুকে মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছেন, তিনিও সার্বিক সহযোগিতার ব্যপারে আশ্বস্ত করেন।
ডায়রিয়ায় স্যালাইন সংকটের কথা জানতে পেরে নলছিটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজ খান ১ লিটারের ১হাজার ব্যাগ,কাজী আলমগীর হোসেন ৫শ মিলির ৩শ ব্যাগ কলেরা স্যালাইন দেয়ার কথা বলেছেন।
আর এম ও আরো জানান নলছিটি হাসপাতালের প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফারজানা ইসলাম ১০হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এই ডায়রিয়া মহামারীর সময় যারা পাশে থাকছেন তাদের সবাইকে টিমের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply