আজকাল বিডি নিউজ ডেস্ক।। বরিশাল জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রায় সবকয়টি ইউনিয়নেই আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বসতঘর, ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় রয়েছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড, ৮ নংনলুয়া ইউনিয়ন, ১১নং ভরপাশা, ১২ নং রংগশ্রী, ১০নং গাড়ুরিয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তবে এখন পর্যন্ত ২ শিশুর প্রাণহানি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । এছাড়াও বেড়িবাধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।দূর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ ও তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও সকল ইউনিয়নে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য ইউ’পি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ প্রদান করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায়।পানি বন্দী মানুষের মাঝে তিনি শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করেন। পাশাপাশি সবাইকে এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়াতে অনুরোধ করেন। এ বিষয় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় এক বাসিন্দা মোঃ মেহেদী হাসান মিলু বলেন,,, প্রতি বছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয় এবং যান মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এর প্রধান কারণ বেড়িবাধগুলো কার্যকর অবস্থায় নেই। বাধগুলো নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয় তা দিয়ে বাধগুলো কয়েক বার পূনরায় নির্মান করা যায়। বসতঘর, গবাদি পশু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যান মালের এতো ক্ষতি হওয়ার পরেও বেড়িবাধ নির্মানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাধগুলো পূনরায় নির্মান করার জন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Leave a Reply