দেশে কঠোর লকডাউন নিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ছেন জনগণ। তারা চলে গেলে আবার পুনরায় বাড়ছে লোকসমাগম।
আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। রাস্তায় অবাধে চলছে গাড়িঘোড়া। দূরপাল্লার বাহন ও লঞ্চ ছাড়া প্রায় সবই চলছে। মানা হচ্ছেনা তেমন স্বাস্থ্যবিধি। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছেন ঘরের বাইরে। অনেকে আবার লকডাউন দেখতে ঘর থেকে বেড় হচ্ছেন।
কাঁচাবাজার ও মাছ বাজার উন্মুক্ত স্থানে না হওয়ায় বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। দোকানের এক সাটার খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। লকডাউনের খবরে চায়ের দোকানগুলোতে আলু আর ডাল রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান বলে চালিয়ে দিয়ে দোকান খুলে চা ও সিগারেট বিক্রিতে বসে পড়েছেন দোকানিরা। বিপাকে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাসের মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য মাইকিংও করেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে থাকেন। এতে করোনার ঝুঁকি লাগামহীনভাবে বাড়ার আশঙ্কা করেছেন উপজেলাবাসী।
স্থানীয় কবির নামে এক ব্যবসায়ী জানান, লকডাউন শুধু কি আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের জন্য। মানুষ অবাধে রাস্তায় ঘুরছে। তাকে করোনা বাড়ে না। অনেকেই দোকানের এক সাটার খুলে ব্যবসা করছেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আবার বন্ধ করছেন। তারা চলে গেলে আবার খুলছেন। গাড়িঘোড়া তো রাস্তায় ঠিকই চলে।
এদিকে গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাসে দশমিনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় শঙ্কার কথা জানিয়েছেন উপজকানিদেরব্যাদশমিনা থানার ওসি মো. জসিমের সরকারি নাম্বারে কল দেয়া হলে এসআই মেহেদি রিসিভ করেন। তিনি জানান, কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার দায়ে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পাঁচ জনকে ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, রাস্তায় লোকজন নেই। সবাই মাস্ক পড়ে বের হচ্ছে। মানুষকে মানাতে হচ্ছে। তারপরও মানুষ বের হচ্ছে। আমার চোখের সামনে পড়লে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply