তারিকুল ইসলামঃঃ ঈদের ছুটি শেষ হতে এখনো বাকী তারপরও ফিরতে হবে কর্মস্থলে সেটা যেভাবে হোক,আজ বরিশাল থেকে ঢাকাতে ফিরতে ছিল মানুষের চাপ, আজ বরিশালের বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার থেকে লকডাউন কার্যকরের খবরে কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকামুখী হয়েছে।বাস বা লঞ্চের কোনো কাউন্টারেই টিকেট না পেয়ে অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলারে মাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। অনেকে ভাড়ায় করা মোটরসাইকেল করে ভেঙে ভেঙে মাওয়া দিয়ে পার হয়ে ঢাকা পথে পারি দিচ্ছে।
সরেজমিনে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে কথা হয় সাকুরা বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষামান কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় তারা জানান ঢাকা যাওয়া জরুরি। তবে সব লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরে এখন বাস কাউন্টারে এসেছি। কোনো টিকেট নেই। এখন বিকল্প চিন্তাভাবনা করছি।
মাওয়ার উদ্দেশে থ্রি হুইলারে উঠা যাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কোথাও টিকেট পাইনি। এখন বাধ্যা হয়ে থ্রি হুইলারে উঠেছি। ঝুঁকি আছে কিন্তু কিছু করার নেই। যেতে তো হবে।থ্রি হুইলারের আরেক যাত্রী বলেন, বাস লঞ্চে টিকেট পাইনি। থ্রি হুইলারে জনপ্রতি ৮’শ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। বাধ্য্ হয়ে যেতে হচ্ছে।
বরিশালের সুন্দরবন, এডভেঞ্চার, সুরভী ও কীর্তণখোলা লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে টিকেট না পেয়ে অনেকে আক্ষেপ নিয়ে বলেন কোনো কাউন্টারে টিকেট পাইনি।কিন্তু ঢাকা যেতেই হবে। কাল লকডাউন শুরু হলে চাকরি নিয়ে টান শুরু হবে।ঈগল পরিবহণের কাউন্টার স্টাফ টালু দাস বলেন, টিকেট অনেক আগে থেকেই বুকিং হয়েছে। কিছু টিকেট ছিল যা সকালেই শেষ হয়েছে। অনেক যাত্রী ভিড় করছে কিন্তু কাউকেই টিকেট দিতে পারছি না।
বরিশাল-মাওয়া রুটের বি এম এফ পরিবহণের কাউন্টার স্টাফ চঞ্চল বলেন, যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। কিন্তু আসন ফাঁকা না থাকায় অনেক যাত্রীকে আমরা নিতে পারছি না।সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পিন্টু বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের টিকেট আগাম বিক্রি হয়ে গেছে।আমাদের কাছে কোনো টিকেট নেই। ডেক ছাড়া আমাদের কাছে কেবিনের কোনো টিকেট নেই।বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে।
Leave a Reply