নিজস্ব প্রতিনিধি>অনিয়ম আর অভিযোগ যেন পিছু ছাড়ছে না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারাম্যান মেম্বারের। চাল বিতরনে অনিয়ম বেড়েয়ে চলছে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নামে। পটুয়াখালীর বাউফলে ভিজিএফ কর্মসূচীর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের ২৭৪৭ জন সুবিধাভোগীর জন্য মোট ৫৪৯ বস্তা চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ওই চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় ২৪০ জন সুবিধাভোগী চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন দেওয়ান বলেন, মোট ৫৪৯ বস্তা চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও আমি ইউনিয়ন পরিষদে এসে ৪৮ বস্তা চাল কম পেয়েছি। তাই মোট ২৪০ জনকে চাল দিতে পারিনি। বরাদ্দকৃত চাল সাবেক চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান রব রিসিভ করেছেন। তিনি আমাকে সম্পূর্ণ চাল হস্তান্তর করেননি।
এদিকে কালিশুরী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৬ কেজি হারে বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।হেলেনা বেগম জানান যে তার কার্ডে ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও চাল পেয়েছেন ৬ কেজি,বাকীচাল কি হয়েছে যানেনি।এরকম আরোও কাদের হাওলাদার হানিফ হাওলাদার সাহিদা বেগম বশার হাওলাদার হেলাল মল্লিক জালাল মল্লিক শাকুল মল্লিক চন্নু ফরাজি এরা সবাই ৬ কেজি করে চাল পেয়েছে ক্ষোভের সাথে বলে ন যে আমাদের চাল কোথায় গেল।
সোমবার কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চাল বিতরণকালে একাধিক কার্ড সুবিধাভোগী বলেন, এতদূর থেকে এসে মাত্র ৬ কেজি চাল পেয়েছি।ওই ওয়ার্ডের মেম্বার নাসির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার চাল বিতরণের সময় চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন। কাউকে কম চাল বিতরণ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, চাল কম দেয়ার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply