অনলাইন ডেস্কঃঃ নানা বিতর্কের জন্য সম্প্রতি আলোচনায় আসা “বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ” এর সভাপতি মো. মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে নিয়ে আরও বিস্তর অনুসন্ধানে নেমেছে সময় ট্রিবিউন। অনুসন্ধানে জানা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দর্জি মনিরের যে সব ছবি ভাইরাল হয়েছে সেগুলোর সবই ভূয়া। বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রফেশনাল কোন লোক দিয়ে সেগুলো এডিট করা।
প্রতিটি ছবিতেই মো. মনির খানকে একটু অস্বাভাবিক রকমের বড় লেগেছে যা পুরো ছবির অন্যান্য লোকদের ছবির অনুপাতের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
ছবির ব্যাপারে কথা বলার সময় দর্জি মনির ফেসবুকে আপলোড করা ছবিগুলোর মূল ছবি অর্থাৎ এইচডি ফরমেটের ছবি গুলো দিতে পারেন নি। তাছাড়া ছবি গুলো কোন কোন অনুষ্ঠানের সে তথ্য দিতেও তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বেশ কয়েকজন নামকরা গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং ফটোশপ এক্সপার্টের সাথে কথা হয় সময় ট্রিবিউনের। তারা সাবাই দর্জি মনিরের অধিকাংশ ছবিই ভূয়া বলে দাবি করেন এবং এর পেছনে যুক্তি কি কি তাও খোলাসা করেছেন। শুধু প্রধানমন্ত্রীর পাশেই নন, বড় বড় শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন বিলবোর্ডেও তার এডিট করা ছবি ফেসবুকে প্রকাশের প্রমাণ এসেছে সময় ট্রিবিউনের হাতে।
নাম গোপন রাখার শর্তে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বলেছেন, “প্রতিটি ছবিতেই মো. মনির খানকে একটু অস্বাভাবিক রকমের বড় লেগেছে যা পুরো ছবির অন্যান্য লোকদের ছবির অনুপাতের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।”
“এছাড়াও একটি ছবিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনের সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। আর দ্বিতীয় সারিতে অন্যান্য বিশেষ ব্যক্তিবর্গ বসে ছিলেন। ঠিক প্রথম ও দ্বিতীয় সারির মাঝামাঝিতে বসে ছিলেন দর্জি মনির যেখানে কোন চেয়ারই ছিল না।”
আরেকটি ছবিতে ছবিতে দেখা যায়, দর্জি মনিরের পেছনে হিজাব পড়া এক মহিলা ছিলেন এবং সে মহিলার সামনের আরেকজন মহিলার শুধু মাথাটাই দেখা যাচ্ছে যেটি দর্জি মনির সহ সেই দ্বিতীয় মহিলার মাথা ক্রপ করে এটাচ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, দর্জি মনির কিভাবে সকল প্রোগ্রামেই প্রধানমন্ত্রীর ঠিক বাম পাশের পেছনের চেয়ারটাই পায়?
এসব ব্যাপারে দর্জি মনির সময় ট্রিবিউন কে মোবাইলফোনে জানায়, তার মত লোক জালিয়াতি করবে এটা হয় না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন সব সময়।
Leave a Reply