বরিশালে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র ফাহাদ হাসানের (১৭)। গত শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে নৌকা থেকে মাথা ঘুরে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ফাহাদের খোঁজে সন্ধান চালায়। এরপর সন্ধ্যার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। তবে সন্ধ্যার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফাহাদের সন্ধান দিতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।
ফাহাদ হাসান নামে নিখোঁজ ওই কিশোর বরিশাল জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী, এবার তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে বরিশাল নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার মাহাবুব হোসেনের ছেলে।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট খন্দকার সাফকাত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ ফাহাদ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
এদিকে ফাহাদের সন্ধানে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ভিড় করছে তার স্বজন-সহপাঠীরা। তারা সেখানে আজাহারি করছে। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার পর ফাহাদকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক বলেন, ‘৫টা ১৫ মিনিটের দিকে সরকারি সহায়তার নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ফায়ার সার্ভিসকে পুরো বিষয়টি জানাই। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই ছাত্রকে খুঁজতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছেন।’
ফাহাদের সঙ্গে ভ্রমণে বের হওয়া তার বন্ধু ইকবাল মাহামুদ বলে, ‘শহরের বান্দরোডের মুক্তিযোদ্ধার পার্ক এলাকা থেকে আমরা ১১ বন্ধু মিলে ত্রিশ গোডাউন যাওয়ার জন্য একটি ট্রলার ভাড়া করে রওনা দিই। ঘাট ছেড়ে মাঝনদীতে আসার পর হঠাৎ ফাহাদ মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যায়। তখনই আমরা ৯৯৯ নম্বরে কল করি। এর কিছুক্ষণ পর প্রশাসনের লোক এসে উদ্ধার অভিযানে নামে।’
এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর ট্রলারে চেপে বন্ধুর জন্মদিন পালন করতে গিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় দ্বীপ ঘোষ নামের (১৬) এক কিশোর। এর দুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।’
Leave a Reply