ভোলার মনপুরায় এক তরণীকে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণের পর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিপু হাওলাদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আটক জিপু হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপর আসামি রুবেল হাওলাদারকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ১৮ আগস্ট মনপুরা থানায় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে জিপু হাওলাদার ও ধর্ষণের সহযোগিতায় বড় ভাই রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী। পরে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেয়।
তিনি জানান, মনপুরা থানা পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জিপু হাওলাদারকে আটক করে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপর আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট জিপু হাওলাদার ও অপর ছেলে রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। তাৎক্ষণিক ওই ধর্ষক বিয়েতে রাজি হয়। পরে ওই তরুণী স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশন না করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ছলনা করে ঢাকায় পালিয়ে যায় ধর্ষক জিপু হাওলাদার। এমনকি মামলা তুলে নিতে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পর ভাইরাল হলে, পরে আবার সেই ভিডিও মুছে দেয় জিপু হাওলাদার।এদিকে জিপু হাওলাদার বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে ওই রকম একটি ভিডিও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজেই দেন ওই তরুণী।ওই তরুণী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬-৭ বছর ধরে জিপু হাওলাদারের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে একাধিকবার বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করে জিপু হাওলাদার।
এর মধ্যে বিয়ের চাপ দিলে ধর্ষকের বড় ভাই রুবেল হাওলাদার মোবাইল ফোনে ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পারিবারিকভাবে কথা বলার জন্য বললে, বিভিন্ন তালবাহানা করে জিপু হাওলাদার।
গত ৪ আগস্ট বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে বলে ফের শারীরিক সম্পর্ক করে জিপু হাওলাদার। পরে বিয়ের ব্যাপারে তালবাহানা করে জিপু হাওলাদারকে ঢাকায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করে তার বড় ভাই রুবেল হাওলাদার।
পরে গত ১৮ আগস্ট মনপুরা থানায় এসে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে জিপু হাওলাদার ও ধর্ষণের সহযোগিতায় বড় ভাই রুবেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী। পরে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নেয়।
ওই তরুণী আরও জানান, থানায় মামলা করতে গেলে জিপু হাওলাদার মোবাইল ফোনে মামলা করতে বারণ করে। এমনকি বিয়ে করতে রাজি হন। পরে বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারে একাধিকবার বৈঠক হয়। কিন্তু বিয়ের নামে ছলনা করে জিপু হাওলাদার ঢাকায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করে বড় ভাই রুবেল হাওলাদার।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, মনপুরা থানার পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে জিপু হাওলাদারকে আটক করে সোমবার সন্ধ্যায় নিয়ে আসে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply