বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া প্রেমিকার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এক গৃহবধূ। পরকীয়া প্রেমিক চার সন্তানের জনক খলিল (৫০) সঙ্গে স্থানীয়দের কাছে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরার পর ওই নারী ধর্ষণ মামলা করেন।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুল বাড়িয়া গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তেতুল বাড়িয়া এলাকার মৃত্যু গয়জোদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মুদি ব্যাবসায়ী মো. খলিলের (৫০) সাথে কড়ই বাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের এক জাহাজ শ্রমিকের স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের ফাদে পরেন। খলিলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় গত রাতে মোবাইলে ডেকে আনে ওই গৃহবধূকে দোকান ঘরের পিছনে লুকিয়ে রাখেন। সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধকরে দোকানের পিছনে রুমে গেলে মহিলাদের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। তালতলী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঐ নারীর অভিযোগে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
ঐ গৃহ বধু জানান আমার স্বামী জাহাজে কাজ করে, গত কিছুদিন পূর্বে খলিলের সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। গতকাল আমাকে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে বলেন আমি তার বাড়ি বেড়াতে যাই। রাতে তার দোকানের পিছে বাড়িতে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে শুয়ে পরলে খলিল আমায় ধর্ষন করে। এ সময় আশেপাশে মানুষের লাইটের আলো দেখে খলিল দরজা খুলে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
রাতেই এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয়রা আপোশ মীমাংসার চেস্টা করে। খবর পেয়ে সংবাদ কর্মীরা গেলে তাদের ম্যানেজ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এ সময় বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে ওই গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালতলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই খলিলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের কারেছেন। তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিকে আটক করে, শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply