নিজস্ব প্তিনিধিঃঃ ভোলার চরফ্যাসনের দুলারহাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে হাসিনা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয়কাদায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে নুরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে স্বামীর বসতঘরে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনে গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়ে পড়লে কোন চিকিৎসা ছাড়াই তাকে রাতভর বসতঘরের নির্জন কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন পাষন্ড স্বামী সালাউদ্দিন। বুধবার সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্বজনরা নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। দুপুরের দুুলারহাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্বামীর বসতঘরের কক্ষ থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় গৃহবধূর ভাই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে দুলাভাই সালাউদ্দিনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ।
চিকিৎসাধীন গৃহবধূ জানান, দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দু’সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান জম্মের পর তিনি নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেন। স্ত্রী রোগাক্রান্ত এনিয়ে স্বামীর সাথে তার প্রায় সময় ঝগড়া বিবাধ হতো। স্বামী তাকে মারধরও করতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে স্বামী সালাউদ্দিন অপারগতা প্রকাশ করেন।
নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে তর্ক বাধে এবং ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জের ধরে স্বামী সালাউদ্দিন আমাকে হাত-পা বেধে ঘরের নির্জন কক্ষে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। আমাকে রক্ষা করতে আমার দুই সন্তান এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারধর করেন। তার নির্যাতনে আমি গুরুতর আহত হয়ে পরলে তিনি (স্বামী) আমাকে বসতঘরের নির্জন কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে আমার ভাই হারুন আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করেন। পরে দুপুরে দুলারহাট থানা পুলিশে সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিন জানান, পরিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী হাসিনার সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে। তাকে মারধর করিনি।
দুলারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply