তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। প্রথম দফার শাসনামলের রক্ষণশীল মনোভাব থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত দেশটিতে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তালেবান।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান তরুণী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, আমার মতো কিশোরীরা অনেক বিপদের মুখে রয়েছে। তালেবান যদি জানতে পারে…তাহলে আমাকে কঠোর শাস্তি দেবে। এমনকি আমাকে পাথর ছুড়ে মেরেও ফেলতে পারে তারা।
রয়টার্সকে ভিডিও কলে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী আরও বলেন, কিন্তু আমি আমার স্বপ্ন বা গন্তব্য ভুলে যায়নি। আমি পড়াশোনা চালিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।
রয়টার্স জানায়, ওই তরুণী ছাড়াও কয়েকশ আফগান তরুণী ও কিশোরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনলাইনে গোপনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আফগানিস্তানের প্রথম ফিমেল অনলাইন কোডিং অ্যাকাডেমি কোড ও ইন্সপায়ারের (সিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ফেরেশতেহ ফরঘ এনক্রিপ্টেড ভার্চুয়াল ক্লাসরুম তৈরি করেছেন। তিনি অনলাইনে কোর্স কনটেন্ট আপলোড করেন।
তিনি তার অন্তত একশ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ সরবরাহ করেছেন। তাদের ইন্টারনেট প্যাকেজও কিনে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আপনি ঘরে বন্দি থাকতে পারেন। কিন্তু কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ভয়ভীতি কিংবা ভৌগলিক সীমারেখা ছাড়াই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পদচারণা করতে কোনো বাধা নেই। আর এটাই প্রযুক্তির সৌন্দর্য।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ছাত্রদের জন্য স্কুল খোলার ঘোষণা দেয় তালেবান। কয়েকদিন পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়ে সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয় তালেবান। কিন্তু ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রীদের এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার অনুমতি দেয়নি রক্ষণশীল সংগঠনটি।
Leave a Reply