পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার নগরের হাট নওমালা কলেজ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. সজীব (১৯) নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎস্যা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদারের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর এক পর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় মো. সজীব গুলিবিদ্ধ হন। সজীব ওই ইউনিয়নের নিজবটকাজল গ্রামের বাসিন্দা নাসির প্যাদার ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের কর্মী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন, তার (সজিব) অস্ত্রোপচার করতে হবে। এ কারণে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার বলেন,জনসমর্থন নাই তাই বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা। তারা অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকার মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলি করে আহত করা হয়েছে। জনগণের রায়ে এবারও তারা পরাজিত হবে।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, কারও গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply