বরিশালে ফুটপাত দখল করে চলছে পুরাতন আসবাবপত্র বাণিজ্য, ঝুঁকিতে নগরবাসী
ফুটপাত, পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দখলে। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। বার বার অপসারণ করতে বলাহলেও ফুটপাত দখলকারীদের কোন ভুমিকা নেই তাদের। নগরীতে ফুটপাত দখল করে চলছে পুরাত আসবাবপত্র রমরমা বাণিজ্য। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীরা। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মন করছেন ভুক্তভুগীরা। নগরীর আমানতগঞ্জ সরকারি মুরগীর ফার্ম সংলগ্ন ও বরিশাল সদর উপ-জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গতকাল ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু পুরাতন আসবাবপত্র’র প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিদ্দিক ষ্টোর, মিরাজ এন্টারপ্রাইজ, ডি আর এন্টারপ্রাইজসহ আরও ৭/৮ দোকান দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতসহ রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ভোগান্তিতে পরছে ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া একাধিক সূত্র জানায়, এসব বিষয়ে কেউ কিছু বলতে গেলে মিরাজ এন্টারপ্রাইজ এর স্বাত্বাধীকারীসহ বেশ কয়েকজন মানুষদের হুমকি দিয়ে বেড়ায়। কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। এব্যাপারে জানার জন্য সিদ্দিক ষ্টোর’র স্বাত্বাধীকারীর মুঠোফোনে ফোন করলে সাংবাদকর্মী শুনে তিনি ফোন কেটে দেয়। জুবায়ের ও মিম নামের দুই শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের এই রাস্তা দিয়ে সব সময় কলেজে আসতে হয়, কিন্তু এই পুরাতন আসবাবপত্রের দোকান গুলো ফুটপাতসহ রাস্তা দখল করে রাখায় আমাদের বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাটতে হচ্ছে। ইতিপূর্বে রাস্তা দিয়ে হাটতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে কলেজের অনেক ছাত্র-ছাত্রী। বারবার কলেজ কর্তীপক্ষ ও স্থানীয়রা এবং সরকারি মুরগি প্রজন্ম উন্নয়ন খামার ও উপ-পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত)আনারুল ইসলাম পোল্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার বলেন,এসকল ব্যবসায়ীদের এবিষয়ে বললেও কর্নপাত করছে না তারা। তাই সিটি করর্পোরেশন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইসব দোকানের মধ্যে কিছু দোকানের নেই ট্রেট লাইচেন্সও। এদিকে রয়েছে জীবন ঝুকিও। এই দোকান গুলো ফুটপাতসহ রাস্তায় বসে আসবাবপত্র গুলো ভাংচুর করায় পথচারীদের শরীরে ঢুকতে পারে পেরেক বা টিন। এছাড়া স্কীন সমস্যাতো রয়েছেই। শুধু যে পথচারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, ক্ষতি হচ্ছে রাস্তারও। আশেপাশে বসবাসরত মানুষদেরও ক্ষতি হচ্ছে। বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানায়, আইন অমান্য করে যারাই ফুটপাত দখল করবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
Leave a Reply