নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজন মো. মনির হোসেন (৩৮) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
এ মামলায় অভিযান ১০ লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখ, লঞ্চে থাকা দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মো. মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন, সুকানী আহসান এবং কেরানী কামরুল ইসলামসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলার বিবরণে জানা যায়, রাতে লঞ্চের ইঞ্জিনে যখন ত্রুটি দেখা দেয় তখনো লঞ্চের কর্মচারীরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তুলতে থাকেন। লঞ্চটির নিচতলার পেছনের অংশে থাকা ইঞ্জিন রুমে যখন আগুন ধরে যায় তখন চালক ও কর্মচারীরা যাত্রীদের বাঁচাতে লঞ্চ তীরে ভেড়ানো বা নোঙর করার চেষ্টাটুকুও করেননি। বরং নিজেরা কয়েকশত যাত্রীকে মৃত্যুর মুখে রেখে পালিয়ে গেছেন।মামলায় এজাহারে লঞ্চটিতে নিরাপত্তা সামগ্রীর ঘাটতির কথাও উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী রাজধানীর ডেমরা থানার পূর্ব বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, লঞ্চে থাকা যাত্রী তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩২), দুই ভাগনি সুমাইয়া আক্তার মীম (১৫), সুমনা আক্তার তানিশা (১০) এবং ৭ বছর বয়সী ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়জিদ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) আব্দুল মালেক বরিশালটাইমসকে বলেন, মনির হোসেনের লিখিত এজাহারটি গ্রহণ করে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় এটি দ্বিতীয় মামলা। এর আগে ঘটনার দিন ২৫ ডিসেম্বর রাতে একই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন দিয়াকুল এলাকার গ্রাম পুলিশ মো.জাহাঙ্গীর হোসেন।
Leave a Reply