নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃবাংলাদেশে ৪র্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৬০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে রাঙ্গাবালী থানায় চারটি মামলা হয়েছে।মামলার খবর শুনেই পুরুষশূন্য হয়েছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দুই গ্রাম। গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নয়াচর ও চরআন্ডা গ্রামের পুরুষরা। হাটবাজারে ব্যস্ততা নেই। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। গত রোববার রাতে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীর ভোট গণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।রেজাল্ট শিট ছিনতাইয়ের চেষ্ট করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল খালেক ফরাজী (৪২)। এ ঘটনার পর বরিশালের ডিআইজি এস এম আখতারুজ্জামান সোমবার সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ডিআইডি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা মো: হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখা, হামলা চালিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আহত করা, পেপার ছিনতাই এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে নয়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আজমল হোসেন দুটি মামলা করেন। এতে পরাজিত মেম্বারপ্রার্থী জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
একই অভিযোগ এনে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মেহেদী হাসান রুমি হয়ে একটি মামলা করেন। এতে পরাজিত মেম্বর প্রার্থী মজিবর রহমানকে প্রধান করে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এদিকে নিহত খালেক ফরাজীর স্ত্রী ফাহিমা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মজিবর নামের একজনকে গলাচিপা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply