অনলাইন ডেস্কঃঃ বিরোধপূর্ণ জমি দখলে সহায়তা ও ঘুস দাবির অভিযোগে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের ও দুই এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নাম্বার আমলি আদালতে এ মামলা করেন উপজেলার উত্তর বদলকোট ইউনিয়নের কাজী রফিক উল্লার ছেলে আবদুল ওয়াহেদ।মামলার আবেদনে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, চাটখিল উপজেলার বদলকোট মৌজায় তার দখলীয় জায়গা ১৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘তারা থানা-পুলিশ কন্ট্রাক্ট করে এসেছে, বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে চাটখিল থানার এসআই মো. ওয়াহেদ ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যান। পরে একই থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করায় বাদীসহ তার আত্মীয়স্বজনকে গালমন্দ করে এবং জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন।দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ী ভুক্তভোগী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়।
এদিকে প্রতিপক্ষ রাতের অন্ধকারে জেনারেটরের আলোয় জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাতে বাড়িতে এসে ঘটনা দেখার পর পরদিন পুনরায় থানায় গেলে দুই এএসআই তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।এ বিষয়ে জানতে চাটখিল থানার ওসি মো. আবুল খায়েরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে পরিদর্শক তদন্ত হুমায়ুন কবির কল রিসিভ করেন। তিনি জানান, ওসি অসুস্থ।
Leave a Reply