বরিশালে বাবা-ছেলের বিরুদ্বে মসজিদের জমি আত্নসাত ও প্রতারণার অভিযোগ বরিশালে বাবা-ছেলের বিরুদ্বে মসজিদের জমি আত্নসাত ও প্রতারণার অভিযোগ – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

বরিশালে বাবা-ছেলের বিরুদ্বে মসজিদের জমি আত্নসাত ও প্রতারণার অভিযোগ

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৭৪ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালে বাবা ছেলের বিরুদ্বে ভুয়া দলিল দিয়ে মসজিদের জমি আত্নসাত ও মুসুল্লিদের সাথে প্রতারণার কাহিনী ফাঁস হয়েছে। অভিযুক্ত সৈয়দ আবুল খায়ের ও তার ছেলে আবুল বরকত । এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় এম এ মোতালেব অভিযোগে জানান, সৈয়দ আবুল খায়ের ও তার ছেলে নগরীর মীরা বাড়ির মসজিদের জমির মালিকানা দাবী করে আসছেন। অথচ, ৫০ নং বগুড়া আলেকান্দা মৌজার এস এ ৪৩২ ,৫৬০, ৫৬৩ নং খতিয়ানের এস এ ৬৮৭৩ নং দাগে ৫ শতাংশ। যা তারা মসজিদে দেয়ার পূর্বেই অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন । উক্ত এস এ খতিয়ানে ৬৮৭৩ নং দাগে মোট জমি ৮৪ শতাংশ । সরকারী সড়ক বিভাগের একোয়ার ৫৬ শতাংশ বাদে মালিকানা থাকে ২৮ শতাংশ। আবুল খায়ের গং বার আনা অংশের মালিক ২১ শতাংশ। বাকি চার আনা অংশে ৭ শতাংশ আর এস এস এ ও বিএস রেকর্ড মূলে মালিক সৈয়দ কাসেম আলীর ওয়ারিশ ফরিদ আলম গং। আবুল খায়ের বার আনা অংশে পাবে ২১ শতাংশ , কিন্ত তার গ্রুপসহ বিক্রি করেছেন .৩০৫২ শতাংশ। তিনি .০৯৫২ শতাংশ জমি বেশী বিক্রি করেছেন। তারপরেও মসজিদের ভুয়া , মালিকানাবিহিন ভাবে ৫ শতাংশ দলিল দিয়ে এম এ মোতালেবের জমিতে মসজিদ তৈরী করেছেন।

সৈয়দ আবুল খায়েরের ভোগ দখলীয় ছিল ৬৮৭৩ নং দাগের সিএন্ডবি রোডের পশ্চিম পার্শ্ব। কিন্ত মসজিদ তৈরী করেছেন ৬৮৭২ নং দাগের রোডের পূর্বে পার্শ্বে। এই দাগ আবুল খায়েরের আর এস , এস এ , বি এস, রেকর্ডে তার মালিকানা নেই। মালিকানা স্বত্ব আর এস তথা এস এ রেকর্ডে সৈয়দ কাসেম আলী তার পৈত্রিক সুত্রে মালিক সৈয়দ আনিছ আলী গং। তাদের নিকট থেকে বর্তমানে ক্রয় সুত্রে মালিক এম এ মোতালেব গং। জমি আত্নসাতকারী আবুল খায়েরের বিরুদ্বে ইতিপূর্বে একাধিক মামলাও ছিল বলে জানান এম এ মোতালেব। এছাড়া জমি আত্নসাতের এই মামলায় আবুল বরকতের সাজাও হয়েছিল। ৬৮৭৩ নং দাগে আবুল খায়ের গংদের জমি যারা ক্রয় করছিলেন , তাদের নামে দলিল ও দখল মোতাবেক সিএন্ডবি রাস্তার পশ্চিম পার্শ্ব দিয়া হাল বিএস জরীপে ডিপি খতিয়ানে রেকর্ড নিয়েছেন, যার ডিপি খতিয়ান নং- ৭৮২৯, মাহমুদা বেগম গং এস এ দাগ ৬৮৭৩ নং হাল ১৩৮৮৩ নং দাগে ০৬৫২ শতাংশ ,ডিপি খতিয়ান নং-১১৫৩৪ , হারুন অর রশিদ গং এস এ দাগ ৬৮৭৩, হাল ১৩৮৮৫নং দাগে জমি ০৬০০ শতাংশ ডিপি খতিয়ান নং- ১১৮৪৮ , সালমা বেগম এস এ দাগ ৬৮৭৩ নং হাল দাগ ১৩৮৮৬, জমি ০৬০০ শতাংশ । ডিপি খতিয়ান নং ১১৩১১ হাবিবুল্লাহ গং এস এ দাগ ৬৮৭৩ হাল দাগ ১৩৮৮৭, জমি ১২০০ শতাংশ একুনে ৩০৫২ শতাংশ। আবুল খায়ের গং ৬৮৭৩ নং দাগে জমির মালিক আছেন ২১ শতাংশ। কিন্ত বিক্রি করেছেন ৩০৫২ শতাংশ ।

বেশি বিক্রি করেছেন ০৯৫২ শতাংশ। এরপর উক্ত দাগে বিগত ২৪/১১/২০১৪ তারিখে রেজিঃকৃত ১১২৫৯ নং ওয়াকফ লিল্লাহ দলিল দেন ০৫০০ শতাংশ সম্পূর্ণ মালিকানা বিহিনভাবে। মালিকানা না থাকায় মসজিদের দলিল এস এ ও বি এস রেকর্ড করতে পারেননি। এছাড়া প্লান বিহীন ভাবে জোর পূর্বক মসজিদ তৈরি করে সেখানে মসজিদের নিচ তলায় মার্কেট তৈরি করে মসজিদের পবিত্রতার ক্ষতি করেছে। মসজিদ যেখানে তৈরি করেছে সেখানে মীরা বারির পারিবারিক কবরস্থান ছিল। কবরস্থানের ওপর মসজিদ করা যায় কিন্ত মার্কেট গড়ে তোলা সমিচীন নয়। মসজিদ কার্যকারী কমিটির প্রতি এম এ মোতালেব মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে আবুল খায়ের ও তার ছেলে বরকতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা ব্যর্থ হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর