নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে আব্দুল জাব্বার নামের এক যুবককে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিহাব নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলাকারী আব্দুল জাব্বারের গলায়, মুখে,মাথায় ও পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
আব্দুল জাব্বারকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ভাই আবুল খায়েরও সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হযন। স্থানীয়রা জাব্বারকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত আব্দুল জাব্বার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা ইউছুফের ছেলে।
সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম চরনোয়াবাদ নতুন মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা হামলাকারী শিহাবকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আহত আব্দুল জাব্বারের ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর মাগরিবের নামাজ পড়ে আব্দুল জাব্বার এলাকার মসজিদ থেকে বের হলে সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা শিহাব তাঁর ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এসময় শিহাব আব্দুল জাব্বারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে।
শিহাবের ছুরির আঘাতে আব্দুল জাব্বারের গলায় প্রায় ১৪টি সেলাই লেগেছে। এছাড়াও ধারালো ছুরির আঘাতে তার মুখ,মাথা ও পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে।
প্রথমে জাব্বারকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শিহাবের ভগ্নিপতি আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, ভোলার স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো আব্দুল জাব্বার। চাকরি করা অবস্থায় বিভিন্ন দোকান থেকে প্রায় ১৬লাখ টাকার মালামাল বাকিতে এনে মাহমুদরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দেয়।
সেখানের চাকরি ছেড়ে দিলে মাহমুদের কাছ থেকে আব্দুল জাব্বার ওই ১৬ লাখ টাকা পাওনা হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় সেই ১৬ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয় মাহমুদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদ তাঁর ভায়রার ছেলে শিহাবকে দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারী শিহাবকে ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিসহ আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত আব্দুল জাব্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। তবে কি কারনে এ হামলার ঘটানো হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
Leave a Reply