নিজস্ব প্রতিনিধি:: বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাজারে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিকের কাছ থেকে ওসি বশিরুল আলম কিছু ইলেক্ট্রনিক পণ্য ক্রয় করে এবং ওই দিন সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীকে থানায় ডাকেন ওসি। এসময় রাসেলের বিরুদ্ধে নিম্নমানের পণ্য বিক্রির অভিযোগে তোলেন ওসি। এজন্য মামলাসহ কোর্টে চালান দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এই চাঁদাবাজির বিষয়টি রাসেল ৯৯৯ জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করলে সেই টাকা ওসি ফেরত দিলে ক্ষ্যান্ত দেননি। এখন নতুন করে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় ওসি বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরগুনা পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় পুলিশ কমিশনারের কাছে চাঁদা দাবির লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার খোলপটুয়া এলাকার ব্যবসায়ী রাসেল মিয়ার বোন সাহানা বেগম।
বুধবার সকালে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার খোলপটুয়া বাজারে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী রাসেল মল্লিকের কাছ থেকে ওসি বশিরুল আলম কিছু ইলেক্ট্রনিক পন্য কেনেন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় রাসেলকে থানায় ডাকেন ওসি।
স্বজনরা থানায় গেলে রাসেলের বিরুদ্ধে নিন্মমানের পণ্য বিক্রির অভিযোগে তোলেন ওসি। এজন্য মামলাসহ কোর্টে চালান দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রাসেলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন স্বজনরা।পরদিন রাসেল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে এ টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে বশিরুল ২০ হাজার টাকা রাসেলকে ফেরত দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, টাকা ফেরত নেয়ায় রাসেলের উপর ক্ষুব্ধ হন ওসি। পূর্বশত্রুতার জের কাজে লাগিয়ে গত রোববার রাসেলের বিরুদ্ধে কয়েকজন প্রতিবেশিকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ান বশিরুল। ওই অভিযোগে রাসেলকে থানায় ডেকে মামলার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
ব্যবসায়ী রাসেলের বোন শাহানা বেগম বলেন, ‘ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ ওসি বশিরুল আমার ভাইসহ পরিবারের সবাইকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা তার হুমকিতে আতঙ্কের মধ্যে আছি। তাই বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বশিরুল আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে।’
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।’
Leave a Reply