ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক‌লেজছাত্রী‌কে ধর্ষণের অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক‌লেজছাত্রী‌কে ধর্ষণের অভিযোগ – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক‌লেজছাত্রী‌কে ধর্ষণের অভিযোগ

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৯৬ সময় দর্শন

অনলাইন ডেস্ক:: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক কলেজছাত্রী। বর্তমানে ওই ইউএনও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এবং ইউএনওয়ের নামে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন।এদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও কলেজ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মনজুর হোসেন দায়িত্ব থাকাকালীন তার সাথে পরিচয় হয় ওই কলেজ ছাত্রীর। এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বাসাইল সরকারী বাসভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন।

ইউএনও’র বিয়ের আশ্বাসে অন্যত্র বিয়ের সকল প্রস্তার নাখোশ করে দেন ওই কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার। এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী ও ইউএনও টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজের সাথে পাওয়ার হাউজের পিছনে একটি বাসায় একত্রিত বসবাস শুরু করেন। সেখানে তারা দুই মাস বসবাস করার সময় একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্রী। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী বিয়ের ও সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ইউএনওকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরবর্তীতে তারা দুজনে ভারত থেকে ঘুরে এসে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন।

গত বছরের ২৪ শে সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি (এসিল্যান্ডের ব্যবহৃত) গাড়িতে তার পরিচিত জোবায়েত হোসেন, গাড়ি চালক বুলবুল হোসেন ও দুই আনসারসহ বেনাপোলের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হয়। ওই গাড়ি চালক ইউএনও, ওই কলেজ ছাত্রী ও জোবায়েতকে বেলাপোল সীমান্তে নামিয়ে দিয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে গত বছরের ১২ অক্টোবর তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এর পূর্বে ভারতে অবস্থান কালে ইউএনও একাধিকবার ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ইউএনও মনজুর হোসেন ওই কলেজ ছাত্রীকে স্ত্রী মর্যাদা দেয়নি। পরবর্তীতে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ওই কলেজ ছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘ইউএনও মনজুর হোসেন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছেন। মনজুর হোসেন বিবাহিত হয়েও তিনি অবিবাহিত পরিচয় দিয়েছেন। আমি সরল মনে তার কথা শুনে বিশ্বাস করেছি। তিনি শুধু আমাকে ব্যবহারই করেছেন, সামাজিক ভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। আমি আমার প্রাপ্য অধিকার চাই।’

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, ‘ইউএনও আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা সামাজিক ভাবে অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার মেয়ে কলেজে যেতে পারছেনা। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে ইউএনও মনজুর হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে ‘আমি দেখতেছি’ বলে ফোনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ‘ইউএনও মনজুর হোসেন বাসাইল থেকে চলে যাওয়ার পর আমাকে একদিন ফোন করে জানান, একটি মেয়ে আমার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আপনি একটু দেখেন। আমি ওই মেয়েটির সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুহানা নাসরিন বলেন, ‘এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে কে দোষী, কে নয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর