নিজস্ব প্রতিবেদক:: মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণ করা ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসকে ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা গাড়ি চালককেও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পটুয়াখালী কাজীপাড়ায় অবস্থিত এসপি কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
সদর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দিনভর অভিযান চালিয়ে ওই স্থানকে চিহ্নিত করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোরকা পরা এবং অসুস্থ অবস্থায় তাদের ওখানে পাওয়া যায়।
পুলিশ সুপার মোহাস্মদ শহিদুল্লাহ জানান, শিবু লাল দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।পটুয়াখালীর ধনাঢ্য এ ব্যবসায়ীকে সোমবার রাত ৯টার দিকে অপহরণ করা হয়।
রাতেই তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য ২০ কোটি দাবি করা হয়। পর দিন তার ব্যবহৃত প্রাডো গাড়িটি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। গাড়িচালক মিরাজকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসের ছেলের বউ শান্তা রাণী দাস জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পুরানবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে তার শ্বশুর ব্যবসায়ীক কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গলাচিপার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর খেয়াঘাট থেকে পুনরায় পটুয়াখালী শহরের নিজ বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হন। এ সময় তার সঙ্গে গাড়িচালক মিরাজও ছিলেন।
এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুরের ফোন বন্ধ পান তিনি। পরে গাড়িচালক মিরাজের ফোনও বন্ধ পান। এ কথা শুনে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। বিষয়টি রাতেই শিবু দাসের ছেলে কার্তিক দাসকে অবহিত করা হলে তিনি রাত ১১টার দিকে তার খোঁজ শুরু করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তার মেয়ের শ্বশুর সাংবাদিক শংকর লাল দাস জানান, রাত আনুমানিক দুইটার দিকে শিবু লাল দাসের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে তার স্ত্রী বিউটি দাসের ফোনে কল করে বলা হয়, ‘শিবুকে পেতে হলে ২০ কোটি টাকা লাগবে’। জবাবে স্ত্রী বলছে, ‘দিব টাকা’। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয়।
Leave a Reply