নিজস্ব প্রতিবেদক::ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বেশাইনখান বাজারে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত শাহ আলম (৫৫) ওই এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের পুত্র।
এঘটনায় মূলহোতা কীর্তিপাশা ইউপি সদস্য নীরু হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।নিহতের ভাই মো. মনির হোসেন জানান, সোমবার বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুটি প্যানেল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নীরু হাওলাদার ও কৃষক শাহ আলম। নির্বাচনে শাহ আলম জয়ী হওয়ায় তারা হামলার পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল মহড়া দেয় বেশাইন খান বাজারে নীরু হাওলাদারের লোকজন। শাহ আলমকে সামনে পেলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নীরু, হিরু, রিমু, সোহেল, রাসেল, রাহাত, নান্নু খানসহ ২৮/৩০ জন। তাদের হামলায় মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এঘটনায় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং নীরু হাওলাদারকে আটক করেছে।এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভাই শাহ আলম হত্যা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন মনির।তিনি আরও জানান, এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও মোটরবাইক যোগান দিয়েছে আল মামুন। তাকেসহ হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান নিহত শাহ আলমের ভাই মনির হোসেন।
সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে নীরু হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।’
Leave a Reply