নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালের বাকেরগঞ্জে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। আসামির স্ত্রী বটি দিয়ে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যদার কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছেন। বাকেরগঞ্জে শর্শী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই কৃষ্ণ কান্ত’র নেতৃত্বে একটি টিম সোমবার বিকেলে হত্যা মামলার আসামি মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে যান। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বাসায় ঢুকে মনিরকে গ্রেপ্তার করতেও সক্ষম হন। এসময় তার স্ত্রী কুলসুম বেগম বটি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং এএসআই কৃষ্ণ কান্তকে এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করেন। এই ঘটনায় মনির ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুনের নেতৃত্বে সোনাপুর গ্রামে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করে মনির হোসেনসহ কয়েকজন। তাদের মধ্যে রনি মোল্লা (৩২) নামের এক যুবক ওই দিন রাতেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় রনি মোল্লার বাবা ইয়াসিন মোল্লা বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হোসেন।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মনির হোসেন নিজ বাসায় অবস্থান করছেন এমন সংবাদ পেয়ে শর্শী ফাঁড়ি পুলিশকে গ্রেপ্তারে নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে এএসআই কৃষ্ণ কান্ত’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেই বাড়িতে যায় এবং মনিরকে গ্রেপ্তারে সফলতা পায়। এসময় মনিরের স্ত্রী পুলিশ সদস্যদের ওপর বটি নিয়ে হামলা করে এবং স্বামীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দিলে সে বটি দিয়ে এএসআই কৃষ্ণকে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে স্ত্রীসহ মনিরকে গ্রেপ্তার এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তাকে স্থানীয় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, মনির হোসেনকে নিহত রনি মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একটি নতুন মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেই মামলার প্রধান আসামি তার স্ত্রী কুলসুম বেগম। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’
Leave a Reply