নিসজ্ব প্রতিবেদক:::বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বটবালি গ্রামে পারভীন বেগম নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এই নারীর স্বামী আব্দুর রব হাওলাদার স্ত্রী বিয়োগান্তের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দাবি করলেও শ্বশুর পরিবার বলছে- একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ নারীর স্বামীকে আটক পরবর্তী হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল।
পুলিশ জানায়, এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নারীর লাশসহ স্বামী আব্দুর রবকে আটক করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এবং নারীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন- স্ত্রীকে হত্যার পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করেন আব্দুর রব।নিহত পারভীন বেগম একই উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া তবিরকাঠী গ্রামের আব্দুল মালেক সিকদারের মেয়ে।
আব্দুর রবের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারভীন বেগম তার ভাতিজার বিয়েতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর সাথে ঝগড়া করেন। পরে রাত ১২টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান স্ত্রী বিছানায় নেই। এসময় খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন পাশের রুমে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে পারভীন বেগম ঝুলে আছেন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডিউটিরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে মেয়েকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখেন আব্দুর রব এমনটি অভিযোগ করেন- পারভীন বেগমের বাবা আব্দুল মালেক সিকদার। তার দাবি, মেয়ের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে প্রতীয়মাণ হয়- আব্দুর রব তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এবং পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এছাড়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত না করায় তার ওপর সন্দেহ আরও বেড়েছে দাবি করেন আব্দুল মালেক সিকদার।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, নারীর মৃত্যুর কারণ কী প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার বাবা অভিযোগ করেছেন- জামাই আব্দুর রব পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করে এবং নিজেকে রক্ষায় লাশটি ঝুলিয়ে রাখে। এবং রাতে শেবাচিম থেকে লাশ নিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা আব্দুর রবকে আটক করে পুলিশের দিয়েছেন।
Leave a Reply