আমরা গরিব মানুষ, টাকা পয়সা নাই। আমি ধর্ষণের শিকার, আমি বিচার চাই।’ এটা জাতীয় প্রেসক্লাব বা এমন কোনো স্থানে করা মানববন্ধন কর্মসূচির কোনো ব্যানার নয়, না কোনো সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া ভুক্তভোগীর বক্তব্য। আজ বুধবার সকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দীনের বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে এ আরজি জানায় নীলফামারী থেকে আসা এক কিশোরী।
প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এজলাস কক্ষ বেশিক্ষণ আর প্রতিদিনের মতো থাকল না। আদালতের কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক কিশোরী হঠাৎ করে সরাসরি এজলাসের ডায়াসের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখানে দাঁড়িয়ে সে নিজের আরজি জানায় এই বলে, ‘আমরা গরিব মানুষ। টাকা পয়সা নাই। আমি ধর্ষণের শিকার, আমি বিচার চাই।’
ওই কিশোরী তখন নিজের নাম বলে আদালতকে বলে, তার বয়স ১৫ বছর। সঙ্গে তার মা। এক বিজিবি সদস্য তাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু নীলফামারীর আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। তাই এই আদালতের কাছে সে বিচার চায়।কিশোরীর বক্তব্য শুনে মামলার কোনো কাগজ আছে কি-না, তা জানতে চান আদালত। কিশোরী জানায়, ‘কাগজ আছে।’পরে আদালত উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে লিগ্যাল এইডের কোনো আইনজীবী আছেন?’
তখন লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বদরুন নাহার উঠে দাঁড়ান। তাঁকে ওই কিশোরীর মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিতে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে এবং জরুরি ভিত্তিতে দেখতে বলেন আদালত।
Leave a Reply