দুর্নীতি,আত্মসাৎ,অসদাচরণের অভিযোগ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে।
★লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেন ভুক্তভোগী নারী মেম্বররা★
স্টাফ রিপোর্টার— বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৬ নম্বর মাধপপাশা ইউনিয়নের হত- দরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকের মজুরির টাকা কৌশলে মেম্বরদের মাধ্যমে নিজের পকেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সিদ্দিকুর উপজেলার ৬ নম্বর মাধবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে চলতি মাসের ১৪ তারিখ। লিখিত অভিযোগে টিআর,কাবিখা,জিআরসহ বেশ কিছু প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি ও ওই ইউনিয়নের আরেক ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রিনা বেগম। এছাড়াও চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি অবিচার,অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের সরকার কতৃক হতদরিদ্রর জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প (ইজিপিপি) মাধ্যমে ৪০ দিনের ১ম পর্যায়ের কর্মসূচির সম্পূর্ণ টাকা কৌশলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ডের মেম্বররা। ২য় পর্যায়ের আত্মসাৎ চেষ্টার খবর ছাপানোর পর প্রকল্প বাতিল করেছে কতৃপক্ষ।
জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ নং মাধবপাশা ইউনিয়ন থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আর এই প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর ও তিনজন মেম্বরের বিরুদ্ধে। তিনজন মেম্বর হলেন, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মাহবুবুর রহমান,৭ নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান,৩ নং ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলাম রোকন।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগকারীরা জানান,
৪০ দিনের এই প্রকল্পে গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র লোকজনের কাজ করার কথা থাকলেও তা করানো হয়নি। শ্রমিক নয়, বরং মাটি কাটার বেকু দিয়ে নামমাত্র কাজ করিয়েছেন তিনি। নিজের লোকদের মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর।এছাড়া কম্বল থেকে জিআর সবই প্রকল্পের টাকা জড়িত মেম্বরদের সহায়তায় আত্মসাৎ করেন তিনি।
৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি বলেন, আমার এলাকায় শ্রমিক দিয়ে এই প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি।টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে জানি।আমরা প্রকল্পের সংখ্যা, প্রত্যেক প্রকল্পের সভাপতির নাম,পদবী,ঠিকানা,প্রকল্পের কাগজ, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের নাম,ঠিকানা,প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণসহ সকল উত্তোলিত বিলের তথ্য চাইলে চেয়ারম্যান বা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোনটাই দেন না।
ওই ইউনিয়নের আরেক ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রিনা বলেন, আমার এলাকায় শ্রমিক দিয়ে এই প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি।টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে জানি।আমরা প্রকল্পের সংখ্যা, প্রত্যেক প্রকল্পের সভাপতির নাম,পদবী,ঠিকানা,প্রকল্পের কাগজ, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের নাম,ঠিকানা,প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণসহ সকল উত্তোলিত বিলের তথ্য চাইলে চেয়ারম্যান বা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোনটাই দেন না।কারন সেখানে শতভাগ গলদ রয়েছে।
আমার ওয়ার্ডে প্রকল্পের তেমন কোনো কাজ হয়নি। সম্পূর্ণ টাকা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ভাগাভাগি করে খেয়েছেন।
এ বিষয়ে মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর জানান, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।তবে ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মাহবুবুর পরিষদের বিভিন্ন সরকারী কাগজ জাল জালিয়াতি করে।তাকে ধরে প্রশ্ন করেন না কেন? সে আমার সাক্ষরও বিভিন্ন সময়ে জাল করে।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।
Leave a Reply