বরিশালে ডাক বিভাগের গানম্যান আলাউদ্দিন এর ‘চেরাগ’র রহস্য কি (?)
স্টাফ রিপোর্টার— বরিশাল কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের গানম্যান আলাউদ্দিন এরজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। সামন্য ও স্বল্প বেতনের এই কর্মচারীর বিরুদ্দে রয়েছে সীমাহীন অভিযোগ ও জ্ঞাত বহির্ভূত আয়,সম্পদ কামাইয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ।
সরেজমিনে অভিযোগের বিষয় জানতে গেলে তার পরিবারের পক্স থেকে মেলে অসহযোগিতা ও হুমকি। নগরীর শায়েস্তাবাদ শফির গ্যারেজ থেকে ২০০ মিটার দূরে গগে তোলা রাজপ্রাসাদের মত অট্টালিকায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়েই ছলচাতুরী শুরু করেন আলাউদ্দিনের সহধর্মিণী ও সন্তানরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল একটি পানি রিফাইনিং ফ্যাক্টরি রয়েছে তার। কোম্পানির নাম ‘ভলভো’ হলেও এটি আন্তর্জাতিক সেই ভলভো কোম্পানির নামের হুবহু এক নকল কারখানা মাত্র। নকল কারখানার মালিক আলাউদ্দিন নিজের সরকারী চাকুরীর কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ভূয়া কোম্পানির মোড়কে ব্যবহার করেছেন নিজের ছবি সম্বলিত রঙ্গিন বিজ্ঞাপন।
বিশাল ওই নকল কারখানার সাথেই বহুতল আলিশান ভবন তার। চারিদিকে ১০-১২ টি বিভিন্ন পর্যায়ের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবী দুদক ও অবৈধ কারখানায় ম্যাজিস্ট্রেট এর হানার বিষয়ে সতর্ক থাকতেই এই আয়োজন।কোটি কোটি টাকার বহুতল ভবনের ভেতর ঢুকে দেখা যায় বিভিন্ন দামী সব আসবাবপত্র। এমনকি প্রতি সদস্যদের হাতে লক্ষাধিক টাকার মোবাইল ফোন, ছেলের জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল,আলাউদ্দিনের সহধর্মিণী বহন করছেন প্রায় কযেক ভরির স্বর্নের অলঙ্কার। এ সবই জ্ঞাত বহির্ভূত আয়ের প্রমাণ বহন করে তার।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে জমি,ফ্ল্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া,দুদকের নজর এড়িয়ে গোপনে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব বিষয় নিয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের সাথে সাতে বক্তব্য গ্রহন করতে গেলে আলাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন এবং মামলার হুমকি দেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিষয় বরিশালের প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাষ্টার আবুল হোসেন মোল্লার সামনে সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় অসদাচরণ করেন এই দুর্নীতিবাজ অভিযুক্ত আলাউদ্দিন। তিনি দাবী করেন’ তিনি সরকার দলীয় একজন নেতা। এই চাকুরী ছাড়াও তার বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে, যা সরকারী চাকুরী বিধান অনুযায়ী বৈধ। ‘ এছাড়াও তিনি সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রতিবেদকদের নাম,ঠিকানা লিখে রেখে পদে পদে হয়রানি,মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেন প্রকাশ্যে।
এ বিষয়ে প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাষ্টার আবুল হোসেন মোল্লা বলেন ‘ আমি দুঃখিত। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ সে করবে জানতাম না।তবে তার সম্পত্তি সমন্ধে আমার জানা ছিল না। আলাউদ্দিন একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। তার এত সম্পদ এর উৎস কোথায় আমার জানা নেই।
Leave a Reply