“তদন্ত রিপোর্ট দাখিল”
বাকেরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগ !
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাকেরগঞ্জের পশ্চিম চরাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে দেওয়া এই অভিযোগের তদন্তও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জেলা শিক্ষা অফিসার হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকের কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম সুকুমার চন্দ্র বণিক।
স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার বাবু একটি গ্রুপে চরম ধর্মীয় উস্কানীমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যাতে মুসলমান, মহানবী ও কুরআন সম্পর্কে চরম খারাপ খারাপ কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি আপত্তিজনক, তার নজরে আনা হলেও তিনি তা ডিলিট করেননি। এখনো সেই পোস্টটি রয়েছে। তাছাড়া আমরা বেশ কয়েক বছর যাবতই শুনে আসছি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার বাবু বোরখা কিংবা হিজাব পড়লে ছাত্রী বা শিক্ষিকাদের কটাক্ষ করেন। তাদের নামাজের জায়গাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নোংরা করে রাখেন। এমনকি আমরা কোন অভিভাবক লাইব্রেরীতে গেলে তিনি আমাদেরকে অন্য ধর্মের হিসেবে হিংসার চোখে দেখেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চরাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বাশার মাস্টার বলেন, আমিও ঘটনাটি শুনেছি। ভারতের এক লোক ইসলাম ও মুসলমানদের গালাগাল করে একটি ভিডিও করেছে। সেই ভিডিও সুকুমার স্যার গ্রুপে শেয়ার দিয়েছেন। একজন প্রধান শিক্ষক এতটা সাম্প্রদায়িক কট্টরপন্থী হন কিভাবে? এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী চরম নাখোস।
স্কুল কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ টিপু বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দাখিলের পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। চাকুরী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার উত্তেজিত সকলকে শান্ত থাকতে বলেছি। শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করতে সকলকে অনুরোধ করেছি।
অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র বণিক বলেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগ। কেউ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফেক আইডি থেকে এটি শেয়ার করেছে। তবে আমি দেখা মাত্রই ডিলেট করেছি। আমাকে স্কুল থেকে সড়ানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমি বিষয়টি তদন্ত করে গত রবিবার তদন্ত রিপোর্ট ডিপিও অফিসে জমা দিয়েছি। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply