পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী বন্ধন-৫ ও এমভি ধুলিয়া নামের দুই লঞ্চের প্রাতযোগিতা করে ঘাট দিতে গিয়ে ঘাটে অবস্থানরত প্রায ২০ যাত্রী আহত হয়েছে। রবিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধুলিয়া ঘাটে নোঙর করতে গিয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু মারজিয়া (২), মেহেদি হাসান (৩২), আশ্রাফ গাজীসহ (৫০) ২০-২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মারজিয়ার অবস্থান আশংকাজনক।তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি ধুলিয়া ও বন্ধন-৫ নামের দুটি লঞ্চ নদীতে চলা অবস্থা প্রতিযোগিতা করে উপজেলার ধুলিয়া পন্টুনে ঘাট দিচ্ছিলেন। ঘাটে অপেক্ষমান যাত্রীদের বেশ ভীড় ছিল। লঞ্চ দুটি একটি অপরটিকে ধাক্কাধাক্কি করে ঘাটে ভিড়তে ছিল। এসময় লঞ্চের গতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। ফলে লঞ্চের সজোরে ধাক্কায় চাপা পরে আহত হন অন্তত ২০ যাত্রী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের গুরুতর আহত অবস্থায় মার্জিয়া নামের ২ বছরের এক শিশুকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হযেছে।বাকিদের বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, এক পরিবারের মার্জিয়া, তার পিতা মেহেদি হাসান (৩২) ও দাদা আশ্রাব আলী।অপর আহতরা হলেন, ফারজারা (১৬), ডালি (১৬), রোজিনা (৩২), রিমা (২২), জিনিয়া (২) সজিব (২৫)সহ অন্তত বিশ জন।আহত সজিব বলেন, লঞ্চগুলো নদীতে চলমান অবস্থা একটি অপরটিকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। তীরে এসে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় যাত্রীদের ওপর উঠিয়ে দেয়।এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, কেউ মারা যাননি তবে ১৫-২০ আহত হযেছেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply