নিজস্ব প্রতিবেদক:::কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল রোজগার্ডেন থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শরীয়তপুরের স্কুলপড়ুয়া চার বন্ধু কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠেছিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে। ওই হোটেল থেকেই তাদের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রোজগার্ডেন হোটেলের একটি রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই কিশোরী শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, পুরো বিষয়টি যাচাই করার জন্য তার সাথে থাকা তিনজনসহ হোটেলের ম্যানেজারকেও নিয়ে আসা হয়েছে।
রোববার স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে চারজন আলাদা দুটি রুমে ওঠে। পরদিন সন্ধ্যায় নিহতের রুমমেট বাইরে থেকে এসে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় হোটেলের ম্যানেজারকে ডাকা হয়। পরে জানালা ভেঙে দেখা যায়, কিশোরীর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। এমন পরিস্থিতিতে থানা ও টুরিস্ট পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত কিশোরীর মামা সজিব রায়হান জানান, বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় সে। বান্ধবীর বাড়িতে না গিয়ে সে যে কুয়াকাটায় গিয়েছে, তা জানা ছিল না কারো। হোটেলে কিশোরীর রুমমেট ছিল যে কিশোর, সেও বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল বলে জানান তার বাবা উজ্জল খান। তবে এই দুজনের মধ্যে প্রেমঘটিত কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তা বলতে পারেননি কেউই।
হোটেলে ওঠা অন্য কিশোরীও বাসায় মিথ্যে বলে কুয়াকাটায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা। তিনি জানতেন তার মেয়ে স্কাউটসের ট্রেনিংয়ে আছে। এই কিশোরীর রুমমেট কিশোরও মিথ্যা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, বিয়ে তো করেইনি, বরং সে খালার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে গিয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের প্রশ্ন করে বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলে কীভাবে রুম পেলো তারা? এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করতে চান তারা। জানালেন, বিশ্লেষণ শেষেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply