নিজস্ব প্রতিবেদক:::ঝালকাঠি জেলার বৈদারাপুর গ্রামে ঘর ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ, হারুন অর রশিদের স্ত্রী লাভলি বেগম, অপরপক্ষ আব্দুল হাইর ছেলে আলি আজিম এবং রিয়াদ। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার ওপরে মারাত্মক জখম হয়েছে। এছাড়া তার ডান হাত ও পিঠের পিছনের খাঁচা ভেঙে গেছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হারুনুর রশিদ ও তার পরিবারদের সাথে প্রতিপক্ষ আলি আজিম ও তার পরিবারদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময় জমি দখল করতে হারুনুর রশিদ ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ খুন রকমের হুমকি দিয়ে আসছে আলি আজিম ও তার সহযোগীরা। ঘটনার তিন দুপুর দেড়টার দিকে হারুনের রশিদের তোলা ঘর দখলসহ ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা চালায় আলি আজিম ও তার লোকজন। এ সময় হারুনুর রশিদ বাধা দিলে প্রতিপক্ষ আলি আজিম ও তার ভাই রিয়াদ এবং তার মা সফেজা বেগমসহ একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়া হত্যার চেষ্টায় হারুনুর রশিদকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় হারুনের স্ত্রী বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন আলী আজিমসহ অন্যান্য সহযোগীরা। এ সময় আত্ম রক্ষার্থে হারুনুর রশিদ বাধা দিলে অপরপক্ষ আলি আজিম ও রিয়াদ আহত হন।
আহত হারুনের স্ত্রী লাভলী জানান, আমিও আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য বরিশালে আসার পথেও আমাদেরকে বাধা প্রদান করেন প্রতিপক্ষ আলী আজিম ও তাদের লোকজন। তিনি আরও জানান, ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ আলি আজিম ও রিয়াদ ইনজুরি দেখিয়ে নাটকীয় কায়দায় শেবাচিম হাপাতালে ভর্তি হয়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, হামলার কথা শুনেছি। তবে অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply