পটুয়াখালীতে খরস্রোতা পায়রা নদীর কড়াল গ্রাসে ভাঙ্গনকবলিত ছোটবিঘাই ও মাদারবুনিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (দক্ষিন জোন) প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূরম্নল ইসলাম সরকার।
আজ ৫ আগষ্ট শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় অত্র এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূরুল ইসলাম সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম, সদর উপজেলা আওয়ামীলেিগর সাধারন সম্পাদক বিএম শাহজাহান পারভেজ (শাহজাহান ভুইয়া), ছোটবিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার, ছোট বিঘাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মলিস্নকসহ বিপুল সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্থ ও ভুক্তভোগী মানুষ।
যুগ যুগধরে খরস্রোতা পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ভাজনা, ফুলতলা, বিশ্বাসের হাট ও ভুতুমিয় এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম হাট-বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল এবং বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সিডর, আইলা,নার্গিসসহ বিভিন্ন সময় বন্যা ও পস্নাবনে বহু লোকের প্রানহানি ঘটেছে। বর্তমানে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অর্থকরি ফসল বিনস্ট হয়ে কোটি কোটি টাকার লোকসানের শিকার হয় ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই ও মাদারবুনিয়া ইউনিযনের কৃষকসহ সাধারন মানুষ। ইতিমধ্যে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারা হয়ে কৃষিপেশা ছেড়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে শত শত পরিবার। এলাকার শতশত হেক্টর ফসলী জমি ও বাপ-দাদার ভিটাবাড়িসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে। তাই আর আশ্বাস নয় এর দ্রুত উত্তরণ চায় ক্ষতিগ্রস্তরা।
উক্ত ভাঙ্গকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূরুল ইসলাম সরকার বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী, মানুষের কস্ট লাঘবে এবং কল্যানে আন্ত্মরিক আছেন। দ্রম্নতই এর সমাধান হবে বলে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগীদের আশ্বাসদেন প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, যুগ যুগ ধরে পায়রা নদীর ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোল্ডার ৪৩/২ এ প্রায় সম্পূর্ন নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় উক্ত এলাকা ভাঙ্গনরোধে আপাতত ৫ কিঃ মিটার দীর্ঘ নদীর তীর সংরক্ষনে সিসি ব্লক দ্বারা বেড়িবাঁধ নির্মানে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এটা একটা বড় প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্ত্মবায়নে আনুমানিক প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারনা করছেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম।
Leave a Reply