জাতীয় শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া মোনাজাত শেষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগের এক নেত্রীসহ সাত-আটজন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দোয়া মোনাজাত শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে খাবারের প্যাকেট বিতরণ শুরু করা হয়। তাছাড়া অনুষ্ঠানের শেষে মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই খাবার বিতরণ নিয়ে সরকারি হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে অপর পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। এর পরপরই দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় ছাত্রলীগের এক নেত্রী তাদের ছাড়াতে গেলে তার ওপরেও হামলা হয়। হামলার শিকার ওই ছাত্রলীগ নেত্রী মাটিতে পড়ে চিৎকার শুরু করে অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ সময় ধরে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে চেয়ার ভাঙচুরও করে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে সিনিয়র নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ায় কেউ তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি। পরে ওয়ার্ডের লোকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দোয়া ও মোনাজাত শেষে মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা, মারামারি এবং এই নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বরিশাল কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানিয়েছেন, এরকম কোনো খবর তাদের কাছে পৌঁছায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply