ফেসবুক লাইভে একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়লেন যুবক ফেসবুক লাইভে একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়লেন যুবক – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নলছিটিতে মানববন্ধন ইজারা মূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কচি তালুকদারের স্নেহ ভাজন চাঁদপাশার সুমন হতে চান শহীদ জিয়ার আদর্শ সৈনিক রংধনু থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খলনায়ক’-এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য বরিশাল আদালতের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নলছিটিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলা বর্ষ বরন ১৪৩২ নলছিটিতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আটক আজ থেকে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু নল‌ছি‌টি‌তে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের  মৃত্যু নলছিটিতে সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতার সড়ক অবরোধ 

ফেসবুক লাইভে একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়লেন যুবক

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৫ সময় দর্শন

ইচ্ছে ছিল চাকরি করে পরিবারের হাল ধরবেন, দায়িত্ব নেবেন বাবা-মায়ের, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনবেন। তবে দীর্ঘ সময় চেষ্টার পরও চাকরি না পাওয়ায় হতাশায় একাডেমিক সব সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন বাদশা মিয়া নামে নীলফামারীর এক যুবক। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।

বাদশা মিয়া ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা।

জানা গেছে, বাদশা পাঙ্গা চৌপতি আব্দুল মজিদ দাখিল মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দাখিল, ২০০৯ সালে সোনাখুলি মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে আলিম এবং ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি।

দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও চাকরি না পেয়ে বাদশা ফেসবুক লাইভে বলেন, আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়া করে খাচ্ছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সনদপত্র অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কী? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।

বাদশা আরও বলেন, আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার না পারে অর্থের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।

বাদশার সেই ফেসবুক লাইভে তার পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই মন্তব্য করেছেন। রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক লিখেছেন, ভাই আপনিতো আমাদের অনেক কিছু বোঝান। ভালো ভালো পরামর্শ দেন। এখন এটা কী করলেন ভাই, মেনে নিতে পারছি না। কষ্ট পাইলাম ভাই। এমন সিদ্ধান্ত আপনার নেওয়া ঠিক হয়নি।

শাহিবুর ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে ইচ্ছাশক্তি থাকলে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই ভালো কিছু করা সম্ভব। হতাশাকে পাশ কাটিয়ে নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করুন, নতুন কিছুর জন্য।

মঞ্জুর-ই-এলাহী লিখেছেন, বাদশা ভাই আপনি আমার একজন ভালো শুভাকাঙ্ক্ষী। বেশ কবার দেখাও হয়েছিল আপনার সঙ্গে। নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ হতো এক সময়। ভিডিওটা দেখে বুকের ভেতর হাহাকার তৈরি হচ্ছে ভাই। বিশ্বাস করতে পারছি না এমন একটা হৃদয়বিদারক কাজ করে বসবেন।

বাদশার বাবা মহুবার রহমান বলেন, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। দিন দিন হতাশা বেড়ে যাওয়ায় সে তার একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো কাউকে না জানিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর