বাবুগঞ্জে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিলেন ইউএনও বাবুগঞ্জে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিলেন ইউএনও – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

বাবুগঞ্জে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিলেন ইউএনও

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬৬ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমা। ট্রলার মাঝি কথা না শোনায় সঙ্গে থাকা আনসারদের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক ও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান।

অগ্নিসংযোগের পর ট্রলারটি জ্বলন্ত অবস্থায় নদীর মাঝে চলে যায়। আগুন নেভানোর পর সেটিকে বাহেরচর নামক স্থানে এনে রাখা হয়। ট্রলারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক।

তবে ইউএনও নুসরাত ফাতিমার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, ট্রলারে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে ইউএনও’র কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা বলতে পারছিনা। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বলতে পারবো।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, মাঝি আনোয়ার হোসেনের ট্রলারে অভিযানে যান ইউএনও। অভিযান শেষে ঘাটে ফেরার পরে জব্দ জাল পোড়ানো হয়। শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা বলেন। ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য কোন মাছ পাওয়া যায়নি।

এ সময়ে ইউএনও আনোয়ারকে লুকিয়ে রাখা মাছ বের করে দেয়ার জন্য চাপ দেন। এতে ভয় পেয়ে মাঝি আনোয়ার পেছন থেকে পালিয়ে যায়। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যদের ট্রলারে আগুন দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। নির্দেশ অনুযায়ী ডিজেল ঢেলে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয় আনসার সদস্যরা।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক বলেন, অভিযান চলাকালে জব্দ ইলিশের একটা অংশ মাঝি আনোয়ার সরিয়ে রেখেছে সন্দেহ থেকেই তার উপর ক্ষিপ্ত হন ইউএনও। তার নির্দেশনা ছিল অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ট্রলার ভিড়াবে না।

মাঝি সেটা করেছে। এ কারণে ইউএনও আইনগতভাবেই আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। কারণ অভিযানে তার কথার বাইরে কাজ হলে তার ম্যাজিস্ট্রেসি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে তার আগেই ট্রলারটি প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর