নিজস্ব প্রতিবেদক:::বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে নাবিলা আক্তার মিতু(২২) নামের এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার পোনে ১২ টার দিকে।নাবিলা আক্তার মিতু চাঁদপাশা ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ চৌধুরী ও খাদিজা বেগম দম্পতির মেয়ে।
প্রতক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা জানায়, মিতু ও তাঁর মা খাদিজা বেগম রহমতপুর ইউনিয়নের আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন মুসা মুন্সির বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন সকালে মিতুকে বাসায় রেখে খাদিজা বেগম উপজেলা কৃষি অফিসে নিজ কর্মস্থলে যান।
১১ টার দিকে মিতু তাঁর মা খাদিজা বেগমকে ফোন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। খাদিজা বেগম বাসায় ছুটে এসে দেখতে পায় মিতু বাসার একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। এসময় ওড়না কেটে খাদিজা বেগম মৃতদেহ নিচে নামিয়ে নেয়। খাদিজা বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বাড়িওয়ালা মুসা মুন্সি বলেন, নাবিলা আক্তার মিতু প্রেম করে নাটোরের একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিলো। সেই ছেলের সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। সেই থেকে সে ডিপ্রেশনে ভুগতেছিলো। বেশ কয়েকদিন যাবৎ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে সে। রবিবার বিষয়টি নিয়ে খাদিজা বেগম ও মিতু এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে কথা বলেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, নাবিলা আক্তার মিতুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির কারনে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
Leave a Reply