স্টাফ রিপোর্টার//নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে
নিজের কেনা জমিতে দেয়াল তুলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রাণঘাতী হামলায় গুরুতর আহত হন শিক্ষক মওদুদ আহমেদ।তিনি বরিশাল বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
সরেজমিনে শেবাচিমে গেলে গুরুতর আহত সহকারী অধ্যাপক মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলেন যে, ‘গত ১১ তারিখ নগরীর বৌদ্দপাড়া পকেট গেট সংলগ্ন নিজের ক্রয়কৃত জমিতে দেয়াল তুলতে গেলে অতর্কিতভাবে নগ্ন হামলা চালায় ওত পেতে থাকা চক্রটি।আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুনের উদ্দেশ্য করে মাথায় গাছ কাটার ছেন দাও দিয়ে কোপ দেয় তারা।’
এ ঘটনা ১৪৩,৪৪৭,৪৪৮,৩২৩,৩২৬,৩০৭,৩৫৪,৪২৭,৩৮০,৫০৬,পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা করেছি।মামলার আসামী যথাক্রমে এসএম সেলিম ওরফে মোয়াজ্জেম,শাহাদাত হোসেন মোল্লা ওরফে শাহীন,দেলোয়ার হোসেন মোল্লা,রিফাত হোসেন মোল্লা,পলাশ ওরফে মহারাজ মোল্লা,রাজিব হোসেন মোল্লাসহ ৪/৫ জন। এর মধ্যে একজন আসামী কারাভোগ করছে।২ নম্বর আসামী শাহাদাত হোসেন মোল্লা ওরফে শাহীন আজ জামিনে মুক্ত হয়ে প্রভাব খাটাচ্ছে।
তারা আমাকে গাছ কাটার ছেন দাও দিয়ে খুনের চেষ্টার পর ঘরবাড়ি লুট করলো।এখন তারা জামিনে বেড়িয়ে মেডিকেল এসে অর্থের বিনিময়ে মেডিকেল কতৃপক্ষকে বিশেষ করে সার্জারি বিভাগের প্রধানকে ম্যানেজ করে আমাকে জোরপূর্বক নাম কাটিয়ে দিতে চাইছে।
সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ জিএম নাজিমুল হক আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন।তিনি আমার প্রতি চরম দুর্ব্যবহার করে চলেছেন।জোরপূর্বক আমার কাঁচা সেলাই এমনভাবে কেটেছেন যে সেখান থেকে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল।এখন আমার পুরো মাথা ব্যথা করছে। এমনকি আমার ডায়াবেটিস বেড়ে ২২ এর উপরে থাকাবস্থায়ও তিনি বলছেন আমাকে কেবিন ছেড়ে রাস্তায় নেমে যেতে।আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন মেডিকেলে রেফার না করে তিনি বলছেন পুনরায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হতে।আমি সরকারি চাকুরী করে, শিক্ষা ক্যাডার হয়েও তারঅমানবিকতার কাছে অসহায়,নিরুপায়।তিনি আমার জীবনকে হুমকিতে ফেলে দিলেন।এমন অমানবিক আচরণ তার দ্বারা আশা করিনি।এমনকি তিনি সাংবাদিকরা চলে যাবার পরে আমাকে হুমকি দিয়েছেন রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেবেন এবং কাল বাধ্যতামূলক আমার কেবিনে নতুন করে রোগী তুলবেন’
ভুক্তভোগী গুরুতর আহত সহকারী অধ্যাপক মওদুদ আহমদের স্ত্রীর অভিযোগ,তার স্বামীর প্রতি কয়েকদিন ধরেই একপেশে ও অমানবিক আচরণ করছেন সার্জারি বিভাগের প্রধান,রেজিস্টার দুজনই।রোগীর স্বজনদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার তো রয়েছেই,এখন জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে জোরপূর্বক ডিসচার্জ করছেন তিনি।এটা সম্পূর্ণ মানবাধিকার বিরোধী আচরণ।এবং আমার বিশ্বাস, তিনি বিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত।জোরপূর্বক সেলাই কাটার। পর এখন বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
ঘটনাজানতে বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্টার ও সাংবাদিকরা আহত শিক্ষকের কাছে গেলে মেডিকেল কতৃপক্ষ প্রথমে আনসার সদস্য ও পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ডাকে।এসময় কর্তব্যরত পুলিশের এসআই মাইনুল ঘটনাস্থলে আসেন।তিনি ঘটনা জেনে মেডিকেল কতৃপক্ষকে বারবার ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক,নার্সসহ কেউ কথা বলতে চাননি।মোবাইলে শত চেষ্টা করেও মেলেনি অভিযুক্ত সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ জিএম নাজিমুল হকের কোন উত্তর।
এদিকে স্বনামধন্য বিএম কলেজের শিক্ষকের প্রতি অমানবিকতার খবরে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ ছাত্র ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। এছাড়াও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply